Skip to content

Advocatetanmoy Law Library

Encyclopedia & Legal Research

Afghanistan Albania Algeria Andorra Angola Antigua & Barbuda Argentina Armenia Aruba Australia Austria Azerbaijan Bahamas Bahrain Bangladesh Barbados Belarus Belgium Belize Benin Bermuda Bhutan Bolivia Bosnia & Herzegovina Botswana Brazil British V. Islands Brunei Bulgaria Burkina Faso Burundi Cambodia Cameroon Canada Carrib. Netherlands Cayman Island Chile China Colombia Congo DRC Congo Republic Costa Rica Cote d’Ivoire Croatia Cuba Curaçao Cyprus Czechia Denmark Djibouti Dominica Dominican Republic Ecuador Egypt El alvador Estonia Ethiopia Fiji Finland France French Polyn Gabon Georgia Germany Ghana Gibraltar Greece Grenada Guadeloupe Guam Guatemala Guernsey Guinea-Bissau Guyana Haiti Honduras Hong Kong Hungary Iceland India Indonesia Iran ​Iraq Ireland Isle of Man Israel Italy Jamaica Japan Jersey Jordan Kazakhstan Kenya Kosovo Kuwait Kyrgyzstan Laos Latvia Lebanon Liberia Libya Liechtenstein Lithuania Luxembourg Macao Madagascar Malawi Malaysia Maldives Mali Malta Martinique Mauritius Mexico Moldova Monaco Mongolia Montenegro Morocco Mozambique Myanmar/Burma Namibia Nepal Netherlands New Caledonia New Zealand Nicaragua Niger Nigeria North Macedonia Northern Mariana Islands Norway Oman Pakistan Palestine Panama Papua New Guinea Paraguay Peru Philippines Poland Portugal Puerto Rico Qatar Réunion Romania Russia Rwanda Saint Lucia St Vincent & Grenadines Samoa Saudi Arabia Senegal Serbia Seychelles Sierra Leone Singapore Slovakia Slovenia Somalia South Africa South Korea Spain Sri Lanka St. Kitts & Nevis Sudan Suriname Swaziland Sweden Switzerland Syria Taiwan Tajikistan Tanzania Thailand Togo Trinidad & Tobago Tunisia Turkey Turkmenistan UAE U.S. Virgin Islands Uganda Ukraine UK United States Uruguay Uzbekistan Vatican City Venezuela Vietnam Yemen Zambia

  • Home
    • SITE UPDATES
  • Constitutions
  • Dictionary
  • Law Exam
  • Pleading
  • Index
  • Notifications
  • Indian Law
  • Articles
  • Home
  • 2021
  • August
  • 28
  • আফগানিস্থান ভ্রমণ – রামনাথ বিশ্বাস 1942
  • Page 8
  • Bengali Page
  • BOOK

আফগানিস্থান ভ্রমণ – রামনাথ বিশ্বাস 1942

আফগানিস্থান ভ্রমণ করার সময় যাহা দেখেছি এবং শুনেছি তাই লিখেছি। ১৯১৯ সালের মে মাসে আফগানিস্থান স্বাধীন হয় এবং ইহা একটি বাফার স্টেটে পরিণত হয়। যদিও আফগানিস্থান স্বাধীনতালাভ করেছিল কিন্তু নানা কারণে সাধারণ লােকের কোন উন্নতি হয় নি। রক্ষণশীলতা ও সনাতন আচার-পদ্ধতির বেড়াজাল ছাড়িয়ে যেতে যে পরিমাণ শিক্ষা এবং আন্দোলনের আবশ্যক, আফগানিস্থানে তার অভাব দেখেছি। রাজা আমানউল্লা নূতন জগতের নূতন ধারায় দেশটাকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে অবসর তিনি পান নি। যে পরিবর্তন ও উন্নতি আফগানিস্থানে এখনও আসে নি এক দিন সেই পরিবর্তন নিশ্চয় আসবে, আফগানিস্থানের জনগণ চারিদিকের দৃষ্টান্ত দেখে উদ্বুদ্ধ হবে।
2 min read

© Advocatetanmoy Law Library

  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • More
  • Click to share on Tumblr (Opens in new window)
  • Click to share on Skype (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Pocket (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
image_printPrint

কাবুল হতে বিদায়

কাবুলে যা দেখবার সবই দেখেছিলাম, যা শুনবার শুনেছিলাম, এবার আমার প্রবল বাসনা হল কাবুল ত্যাগ করবার। কাবুল হতে গজনি পর্যন্ত ভূমি পর্বতময় ত বটেই, উপরন্তু বরফ পড়ে পথ অনেকস্থানেই বন্ধ ছিল। মাত্র ডাক চলাচলের সুবিধা ছিল; তাই প্রধান মন্ত্রীকে বলে ডাকের মোটরেই কান্দাহার যাবার বন্দোবস্ত করেছিলাম। অতি অল্প পরিশ্রমেই কাবুল পরিত্যাগের বন্দোবস্ত হয়েছিল।

এক সুন্দর প্রভাতে বহু প্রত্যাশিত কাবুল শহরকে বিদ্যায় অভিবাদন জানিয়ে আবার নতুন পথে যাত্রা করলাম। যে মোটরে রওনা হয়েছিল তার নাম হল “মটরে পোস্ত”। শহর হতে বের হয়েই বুঝতে পারলাম তখন কাবুল পরিত্যাগ করা আমার পক্ষে অন্যায় হয়েছে। যে দিকেই দৃষ্টি যায়, সে দিকই বরফে সাদা হয়ে ছিল। সোঁ সোঁ করে প্রবল বাতাস বইছিল। আমার যত শীতবস্ত্র ছিল সব কটাই শরীরে জড়িয়েও শীতে থর থর করে কাঁপতে ছিলাম। তবুও কাবুলে ফিরে যেতে আর মোটেই ইচ্ছা হচ্ছিল না।

পার্বত্যপথে মোটর অতি কষ্টেই চলছিল। অনেকবার পিছলপথের বাইরে মটর চলে যাচ্ছিল এবং চাকা বরফে ডেবে যাচ্ছিল। সুখের বিষয় আমাদের সংগে শাবল ও কোদাল ছিল। প্রত্যেকটা চাকাও চেন জড়ান ছিল। এতেও যখন মাঝে মাঝে মোটর পিছলে রাস্তার বাইরে চলে যাচ্ছিল তখন চেন না থাকলে আমাদের কি অবস্থা হ’ত তা সহজেই অনুমেয়। পথে কয়েকটি হিন্দু বস্তি পড়ছিল। ড্রাইভারের প্রতি সরকারী আদেশ ছিল, পথের মাঝে, যে কোন হিন্দু বস্তি পড়বে সে আমাকে যেন তা দেখিয়ে যায়।

প্রথমদিন বিকালবেলা আমরা একটি হিন্দু বস্তিতে পৌঁছলাম। এই বস্তির লোকজনদের দেখে, আমার মনে হল না যে এরা হিন্দু এমন কি পাঠান। এদের শরীরের গঠন ঠিক স্কচদের মতই। লম্বা লালমুখো লোকগুলি যেন চলতি দুনিয়ার কোন ধারই ধারে না। স্তরেমসে, নমস্কার, সেলাম আলেকম ইত্যাদি কোন শব্দই তাদের মুখে শুনলাম না। এরা যে ভাষা বলে তার একটা শব্দও আমার বোধগম্য হল না।

গ্রামের কয়েকটি লোক বরফ পরিষ্কার করছিল এবং অদূরে কতকগুলি লোক একটা উটের মাংস ভাগাভাগি করছিল। ওদের সংগে মোটর ড্রাইভার ইরানি ভাষায় কথা বলছিল। ড্রাইভার আমাকে বুঝিয়ে দিলে, যদিও এরা হিন্দু বলেই পরিচয় দেয় তবুও হিন্দুস্থানের হিন্দুদের সংগে এদের কিছুই মিল নেই। এরা সকল জানোয়ারেরই মাংস খায়। এদের জাত কোন মতেই যায় না। এরা সকল সময়ই অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে এবং কারো হুকুম মেনে চলতে রাজি নয়। পাঠানদের সংগে এদের কোনরূপ লেনদেন নেই। ইচ্ছা হয় খাজনা দেয়, যদি ভাল না লাগল তো গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। কাবুলের মত স্থানের গরমও এরা সহ্য করতে পারে না। এরা পর্বতবাসী। কারো কাছে আজ পর্যন্ত মাথা নত করে নি। উপহাস করে ড্রাইভার বললে এদের মাঝে হিন্দুপ্রীতি জাগাবার চেষ্টা করে লাভ নেই। সুতরাং সেদিনই আমরা সেখান থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যার পূর্বেই একটি ছোট গ্রামে পৌছলাম। গ্রামে সরাই ছিল, সেখানেই রাত কাটাবার ব্যবস্থা হল।

সরাইএ আসবার পর মনে হল যেন একটা খোঁয়াড়ে ঢুকেছি। চারিদিকে উটের অর্ধভুক্ত বিচালি এবং মলমূত্র বরফের সংগে মিশে জায়গাটাকে নরকে পরিণত করে তুলেছে। যে সকল লোক সরাইএ আশ্রয় নিয়েছিল তারা সবাই গরীব পাঠান। ওদের শীর্ণ মুখে পাণ্ডুর আভা। যে বস্ত্র সব পরে তারা শীত নিবারণ করছে তা অতি সামান্য। প্রত্যেকটি লোকের চোখেমুখে অসহায় ভাব। এরূপ লোকে ভরতি একটি ঘরের একাংশ দখল করলাম এবং সেই রাত্রি সেখানেই থাকতে বাধ্য হলাম। রাত্রে শুধু চা-রুটি খেয়েই থাকতে হল। যে দোকানগুলি আটা, চাল ও ডাল বিক্রি করত তারা নেক্‌ড়ে বাঘের ভয়ে দোকান বন্ধ করেছিল।

রাত্রে সে ঘরে আলোর ব্যবস্থা ছিল না। অন্যান্য যারা ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল তারা ঘরের ভেতর হতে খড়কুটো জড় করে আগুন জ্বালাল এবং ছোট একটি অগ্নিকুণ্ডের সৃষ্টি করল; সেই অগ্নির সাহায্যে আমরা একে অন্যের মুখ দেখে গল্প আরম্ভ করলাম। এত আজগুবি গল্প এরা বলছিল যে সেগুলো শুনে আমার ঘরে টিকে থাকাই দায় হয়ে উঠল। একজন বলছিল বাংগালীরা পৃথিবীর মধ্যে এক নম্বরের যাদুকরের জাত। ইচ্ছা করলেই যাকে তাকে ছাগল বানিয়ে রাখতে পারে। বাংগালীরা ছায়ামূর্তি ধারণ করে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে যায়, এজন্যই বাংলাদেশে পথঘাটের কোন বালাই নাই। আমি বাংগালী একথা তারা জেনেছিল, সেজন্যই এসব গল্পের অবতারণা হচ্ছিল। তারপর উঠল আমারই কথা। একজন বললে এই মুসাফিরের কোন ভয় সেই। যখনই কোন বিপদ আসে তখনই সে বিপদ হতে রক্ষা পাবার জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। বাংগালী পৃথিবী ভ্রমণ করবে না তো করবে কে? এরূপ নানাবিধ আলোচনার মাঝেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

পরদিন প্রাতে উঠেই চা রুটি খেয়ে আবার রওনা হলাম। আজ আমরা অন্ততঃপক্ষে ষাট মাইল না গেলে কোন গ্রাম পাব না—একথা ড্রাইভার মহাশয় গম্ভীরভাবে ঘোষণা করলেন। যে সব মাল আমাদের ব্যবহার করবার জন্য নামান হয়েছিল সেই সকল যথাস্থানে রেখে, খাবারের জন্য কয়েকখানা পরোটা কাগজে মুড়ে রওনা হলাম। পথে জলের বড়ই অভাব ছিল, পার্বত্য দেশের ছোট ছোট নদী নালাগুলির সব জল জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল। শুধু পাতকুয়াতেই জল পাওয়া যেত। নিকটস্থ একটি পাতকুয়া হতে জল সংগ্রহ করবার জন্য মোটর থামল। পাতকুয়ার চারদিক বরফে ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, কুয়ায় ভেতর যে বরফ পড়েছিল তা গলে গিয়েছিল। আমরা কেরোসিন টিনে পরিমান মত জল ভর্তি করে ফের চল্লাম। এবারকার পথ বড়ই উঁচু নীচু। পাহাড়ের গা বেয়ে পথ চলেছে। ড্রাইভারের হাত ঠাণ্ডায় আড়ষ্ট হয়ে যাওয়ার দরুণ প্রত্যেক মুহূর্তেই ভাবছিলাম এই বুঝি গাড়ি পথ ছেড়ে নীচের দিকে চলল। সুখের বিষয় সেরূপ কিছুই ঘটে নি। ক্রমাগত পনের মাইল যাবার পর পথের পাশে একখানা পর্ণকুটির দেখতে পেয়ে মোটর দাঁড় করালাম।

ঘরখানি বড় নয়, মাটির দেওয়াল, উপরে মাটির ছাদ। দরজায় করাঘাত করা মাত্র ঘরের মালিক দরজা খুলে আমাদের বেশ করে দেখে নিলেন। বোধ হয় তিনি বুঝতে পেরেছিলেন আমরা সবাই সরকারী লোক। সেজন্যই বোধ হয় তিনি চায়ের বন্দোবস্ত করতে ইতস্তত করছিলেন কিন্তু যখন মোটর ড্রাইভার আমার পরিচয় করিয়ে দিল তখন তিনি ভেতর দিককার একটা কুঠরীর দিকে যেয়ে তাঁর স্ত্রীকে চা এবং খাবার তৈরি করতে আদেশ দিলেন।

প্রচুর চা, ডিম এবং শুক্‌নো রুটি খেয়ে আমাদের বেশ তৃপ্তি হল। গৃহের মালিককে প্রচুর পরিমাণে সিগারেট এবং চা উপহার দিয়েছিলাম। কুটিরবাসী পাঠান আমার প্রতি কৃপা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলেছিলেন, “বাংলা দেশ গরম আর এ দেশ ঠাণ্ডা। শীতের সময় এ দেশে ভ্রমণ করা বড়ই কষ্টকর।” ড্রাইভারকে তিনি বার বার এই বলে হুূসিয়ার করে দিলেন যে বাংগালী মুসাফিরকে যেন শীত থেকে বাঁচিয়ে গন্তব্য স্থানে পৌছনো হয়, গজনী পৌঁছবার পূর্বেই যেন ফ্রস্ট্র‌্‌বাইট না হয়। দরিদ্র পর্ণ-কুটিরবাসীর আন্তরিকতা দেখে তার প্রতি আপনা হতেই মনে প্রীতির ভাব জেগে উঠেছিল।

আমাদের মোটকার ‘মটরে পোস্ত’ হু হু করে এগিয়ে চলল। চা খাবার পর শরীর একটু গরম হয়েছিল কিন্তু নিমিষে তা লোপ পেল। আমি থর থর করে কাঁপতে ছিলাম। কয়েক মাইল পথ যাবার পরই মোটরকারের চাকা বরফে বার বার ডেবে যাচ্ছিল। অতি কষ্টে শাবলের সাহায্যে মোটরের চাকা বরফ হতে মুক্ত করে আবার চলতে লাগলাম। এরূপ ভাবে চলার জন্য ঘণ্টায় পনের মাইলের বেশি আমরা এগুতে পারছিলাম না।

বিকালের দিকে আমরা ছোট একখানি গ্রামে পৌঁছলাম। এবার আমরা কোনও সরাই-এ না গিয়ে একজন গৃহস্থের বাড়ীতে অতিথি হলাম। গৃহস্থ বড়ই দয়ালু। তিনি আমাদের সাদর সম্ভাষণ জানালেন। উত্তম খাদ্য দিলেন। শোবার জন্য প্রত্যেককে গরম বিছানা দিলেন। খাওয়া শেষ করে গরম বিছানায় আরাম করে বসবার পর গৃহস্বামী বললেন, এ পথ দিয়েই একজন ভারতীয় মোটর ড্রাইভার গজনী যাবার পথে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিলেন। জল এবং পেট্রোলের অভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়। বরফপাত শুরু হবার কয়েক দিন পর ঐ মটর ড্রাইভার কাবুল হতে গজনীর দিকে রওয়ানা হয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন পথে জলের অভাব হবে না। কিন্তু পথ ঘাট ভাল রকম জানা না থাকায় জলের সন্ধান পান নি। পেট্রোলের উপর নির্ভর করেই তিনি অনেক পথ এগিয়ে যান। শেষটায় পেট্রোলও যখন ফুরিয়ে গেল তখন মোটর আপনিই বন্ধ হয়। মোটরের ভেতর নিরাপদ স্থান না থাকায় এবং আত্মরক্ষার কোন ব্যবস্থা ছিল না বলে রাত্রে যখন নেকড়ে বাঘের দল তাঁকে আক্রমণ করল তখন তিনি প্রাণ রক্ষা করতে পারলেন না। নেকড়ের দল শুধু রেখে গিয়েছিল তাঁর ছিন্ন বস্ত্র। ড্রাইভার যে ভারতবাসী ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল চারিদিকে ছড়ানো পাশপোর্টের পাতা দেখে। অতঃপর গৃহস্বামী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন “আফগানিস্থান সুখ এবং দুঃখে পরিপূর্ণ। এখনও এদেশে সভ্যতার আওতা পুরোপুরি ভাবে আসে নি। রাজা আমানউল্লা সেজন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। দেশ বিদেশের পুঁজিবাদীদের তা সহ্য হল না। তাদের অপচেষ্টার ফলে আজ হতভাগ্য ভারতীয় মোটর ড্রাইভারের অপমৃত্যু ঘটল। আমানউল্লা যদি তাঁর নির্ধারিত মতে রাস্তা তৈরীর কাজ করে যেতে পারতেন তবে প্রত্যেক বারো মাইল অন্তর একটি করে সরাই থাকত। কিন্তু তা হল না। আমানউল্লা চিরতয়ে দেশ পরিত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।”

করুণকাহিনী শোনার পর আর কোন কথাই ভাল লাগল না। সে দিনকার মত গৃহস্থের বাড়ীতে রাত কাটিয়ে পর দিন আমরা গজনীর দিকে রওনা হলাম। সুলতান মামুদের গজনী দেখবার জন্য প্রাণ উৎসুক ছিল। কিন্তু যা পথ! যখনই ড্রাইভার একটু অন্যমনস্ক হয়েছে অমনি গাড়ির চাকা বরফে ডেবে গেছে। আমাদের প্রাণপাত প্রয়াসে চাকা উঠিয়ে তারপর চলতে হয়েছে। সারাদিন পথ চলেও পথের শেষ হয় নি, রাত্রেও পথ চলতে হয়েছে।

চন্দ্র আকাশে উঠেছে। স্বচ্ছ, সুনীল আকাশে নক্ষত্ররাজি ঝক্‌মক্‌ করছে। চতুর্দিকে পূর্ণচন্দ্রের শুভ্র আলো বরফে আবৃত পার্বত্যভূমির উপর পড়ে এমন সুন্দর দৃশ্য সৃষ্টি করেছিল যা দেখে মনে হচ্ছিল এমন অপরূপ জ্যোৎস্নারাত্রি এ জীবনে আর কখনো দেখি নি। ভাবছিলাম আমি যদি কবি বা সাহিত্যিক হতাম তা হলে হয়তো এই সৌন্দর্য ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে পারতাম।


image_printPrint

Related

Tags: bengali Travelogue

Continue Reading

Previous: গৌরবকান্তি দীর্ঘকায় পুরুষের মুখের মধ্যে একটি দৃপ্ত তেজ দেখিলাম (বঙ্কিমচন্দ্র) – রবীন্দ্রনাথ -1941
Next: नीलमत पुराण (Sanskrit) Nil Mat Purana-The story of Hindu Kashmir – 500 BC
Pages: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11

Updates

Interpretation NO.748  [ Same-Sex Marriage Case ]-Judicial Yunan-24/05/2017 taiwan 1

Interpretation NO.748  [ Same-Sex Marriage Case ]-Judicial Yunan-24/05/2017

Fake letters of St Paul to Seneca and fake letters of Seneca to St Paul (1863) 2

Fake letters of St Paul to Seneca and fake letters of Seneca to St Paul (1863)

পতিতার আত্মচরিত – কুমারী শ্রীমতী মানদা দেবী প্রণীত (Autobiography of a prostitute by Manada Devi-1929) Bangla meye 3

পতিতার আত্মচরিত – কুমারী শ্রীমতী মানদা দেবী প্রণীত (Autobiography of a prostitute by Manada Devi-1929)

U.S strategy towards sub-saharan Africa-08/08/2022 USA 4

U.S strategy towards sub-saharan Africa-08/08/2022

Epistle of Epicurus to Herodotus (260BCE) 5

Epistle of Epicurus to Herodotus (260BCE)

Will of Epicurus (270 BCE) 6

Will of Epicurus (270 BCE)

Epicurus and his 40 Doctrines (300 BCE) 7

Epicurus and his 40 Doctrines (300 BCE)

CONSTITUTION IPC CRPC CPC EVIDENCE DV POCSO IT IP TP JUVENILE CONTRACT SPECIFIC RELIEF CONSUMER ARBITRATION COMPANY LIMITATION FAMILY LAWS POLLUTION CONTROL BANKING INSURANCE

DOCUMENTS GLOSSARIES JUDGMENTS

  • E-Books 2022  More Documents

Search Google

  • BIBLIOGRAPHY
  • HISTORY
  • PHILOSOPHY
  • RELIGION
  • HINDU LAW
  • HUMAN RIGHTS
  • ENVIRONMENT
  • MEDICAL
  • MUSLIM LAW
  • Contact Us
  • About
  • Disclaimers
  • RSS
  • Privacy Policy
  • Forum
© Advocatetanmoy by Law library.
 

Loading Comments...
 

You must be logged in to post a comment.