PAGE :- 1 – 2 – 3 – 4 – 5 – 6 – 7 – 8 – 9 – 10 – 11 – 12 –13 –14 – 15 – 16 – 17 – 18 – 19 – 20 – 21 – 22
TRANSLATE WITHIN 20 MINUTES
মহুয়া মধ্যম থেকে বৃহৎ আকারের একটি বৃক্ষ Madhuca longifolia। এটি Sapotaccae গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে মহুয়ার আরেকটি প্রজাতি M. indica। এই বৃক্ষ ২০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট হতে পারে। এর গুঁড়ি[the bole] তুলনামূলকভাবে ছোট এবং শীর্ষদেশ গোলাকার ও বিস্তৃত[round spreading crown]। এই বৃক্ষের শিকড়গুলি ছড়ানো এবং তার বেশি অংশ মাটির উপরিভাগে[superficial] থাকে। এই বৃক্ষের ছাল ১.২ সেন্টিমিটারের মতো পুরু, প্রায় মসৃণ, ধূসর থেকে বাদামী রংয়ের হয় এবং এর গায়ে লম্বালম্বিভাবে ফাটল থাকে। এর কাঠ শক্ত থেকে অতি শক্ত হয় এবং বিস্তৃত অংশে কোমল কাঠ থাকে। সারবান কাঠের রং লালচে বাদামী। এর প্রতি ঘন ফুট কাঠের গড় ওজন ২৫০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। এই গাছের শাখার শীর্ষদেশে ৭.৫ থেকে ২৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা বর্শাকৃতির গুচ্ছবদ্ধ পাতা জন্মায়[Simple lanceolate leaves grow in cluster at the tip of the branches]। এর ফুলগুলি মাংসল[fleshy], হালকা ধূসর রংয়ের এবং গাছে যখন সম্পূর্ণ ফুল ফোটে তখন ফুল থেকে আকর্ষণীয় মিষ্টি সুগন্ধ বের হয়[emit attractive sweet fragrance]। এর ফল ডিম্বাকৃতির। জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এর পরিপক্ক বীজ [Mature seeds] পাওয়া যায়। মহুয়ার গাছ বাড়ে খুব ধীরে এবং চতুর্থ বছরের শেষের দিকে এর গড় উচ্চতা দাঁড়ায় ০.৯ থেকে ১.২ মিটার। একটি ৩০ বছরের পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা[ mean height ]হয় প্রায় ৯.১৯ মিটার এবং পরিধি ০.৫ মিটার।
ল্যাটিফোলিয়া (latifolia) প্রজাতির মহুয়া বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিবছর এর পাতা ঝরে যায়[deciduous nature]। এই গাছ বহু ধরনের মাটিতে জন্মে, তবে বেলে মাটিতে[alluvial soil] ভালো জন্মে। ভারতীয় নদী অববাহিকার পলিমাটিতে এই গাছ বেশ ভালো জন্মে। শালবনে এই গাছ শক্ত মাটিতে, এমনকি কিছুটা চুনা মাটিতেও[calcareous soil] জন্মাতে দেখা যায়। বাংলাদেশে এই গাছ বেশির ভাগ দিনাজপুর ও মধুপুর অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। দেশের অন্যান্য অংশেও এর চাষ হয়। এই গাছের আলোর প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি এবং ছায়াতে এর বৃদ্ধি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এই গাছ খরা প্রতিরোধক।
আবাদি বৃক্ষ হিসেবে[ plantation tree] মহুয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ গাছ এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এর মূল্য যথেষ্ট। এই ধরনের গাছ সড়কের ধারে, খালের তীরে প্রভৃতি স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এবং সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে বিশেষ করে উপজাতীয় এলাকায় লাগানো যায়। এর কাঠ টিম্বার হিসেবে এবং মন্ড ও কাগজ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায়।
মহুয়া ফুলে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, খনিজ দ্রব্য, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। এই ফুল চালের সাথে রান্না করলে এর পুষ্টিমান[nutrient value] বৃদ্ধি পায়। আখের পরেই মহুয়া ফুল মদ ও সিরকা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। এর ফুল ও ফল উপজাতীয় লোকেরা ঐতিহ্যবাহী খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে। এর বীচিতে ২০% থেকে ৫০% ফ্যাটি অয়েল থাকে, যা সাবান প্রস্ত্ততের কাজে ব্যবহার করা যায়। মহুয়া বীজের খৈল সার হিসেবে প্রয়োগ করা যায়। অনেকের ধারণা যে, মহুয়া খৈল পোড়ানোর ধোঁয়া সাপ ও পোকামাকড় তাড়াতে পারে। উপজাতীয় লোকেরা মাছ মারার জন্য এবং সর্পদংশনের চিকিৎসার জন্য মহুয়া খৈল ব্যবহার করে। মহুয়ার তৈল প্রলেপ, ত্বকের রোগ নিরাময়, বাত, মাথাব্যথা, জোলাপ, অর্শ রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়[cure of skin diseases, rheumatism, headache, as laxative, in piles and haemorrhoids]। এর বীচি থেকে আঠা পাওয়া যায়। এর তুষ[Husk] সক্রিয় কার্বন তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায়।
2
মাগনের গান এক প্রকার লোকগীতি[genre of folk song]। ‘মাগন’ শব্দটি এসেছে হিন্দি ‘মাঙ্গন’ থেকে; এর অর্থ চাওয়া বা যাচ্ঞা করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা পৌষ-পার্বণকে সামনে রেখে গ্রামের কিশোর-কিশোরীরা দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে[go round the houses] পীর-ফকির বা দেবদেবীর নামে এই গান গেয়ে চাল-ডাল ও টাকা-পয়সা সংগ্রহ করে। অনাবৃষ্টি[ drought] দেখা দিলে মেয়েরা মেঘারানীর গান [song of Megharani]গেয়ে কুলায় জলঘট বসিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জল মাগে। ঘরের গৃহিণীরা জল ছিটিয়ে[sprinkle] পরস্পরকে ভিজিয়ে দিয়ে বৃষ্টির নকল করে। রাখাল কিংবা কৃষক-সন্তানেরা মানিকপীর বা সোনাপীরের প্রতীক লাঠি[sticks symbolising] নিয়ে যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে শির্নীর চাল[grain to make a sweet dish]-ডাল মাগে, তখন তারা ছড়া কাটে এবং গান গায়। তাদের গানে অধিক চাল-ডালের আশায় গৃহস্থের স্ত্ততি ও কল্যাণ কামনা থাকে; কেউ কৃপণতা[paltry] করলে তাকে ভয়-ভীতি দেখানোর ভাষাও প্রয়োগ করা হয়।
3
বেসরকারি উদ্যোগে[Private venture]বছর তিনেক আগেই চালু হয়েছে অনলাইনে মাছ বিক্রির ব্যবসা। প্রযুক্তির কাঁধে ভর করে মাছের বাজার ধরতে চাইছেন রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ইন্টারনেটের মাছের বাজারের দিকে বাঙালির আগ্রহ বাড়ায় রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগমও [State Fisheries Development Corporatio]এ বার অনলাইনে টাটকা মাছ বিক্রির রাস্তা নিল।
4
আপনার আজকের দিন- কোনও কারণে স্ত্রীর কাছে অপমানিত[humiliated] হতে পারেন। আজ সারাদিন ব্যবসা ভাল চলবে কিন্তু পরে জটিলতা আসতে পারে[complications may arise later]। কারও জিনিসের দায়িত্ব আজ নেবেন না। সম্পত্তি কেনাবেচার শুভ সময়। যানবাহন চরার সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন। আজ অর্থ উপার্জনের ভাগ্য[fate of earning] ভাল ও আর্থিক উন্নতি থাকবে। সারাদিন সাংসারিক শান্তি বজায় থাকলেও রাতের দিকে অশুভ যোগ। অযথা কোনও ঝামেলায়[unnecessary trouble] জড়িয়ে পরতে পারেন। সন্তানদের নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।
5
গরমে প্রাণ জুড়োতে হোক বা রান্নার স্বাদ বাড়াতে—ডাবের জলের জুড়ি মেলা ভার। ডাব কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। ডিহাইড্রেশনের মোকাবিলা থেকে শুরু করে শরীরের ইমিউনিটি গড়ে তোলা, নানা গুণ রয়েছে ডাবের জলে। চলুন দেখেনি কেন খাবেন ডাবের জল? গরমে শরীর খুব তাড়াতাড়ি জল টেনে নেয়। ফলে দেখা দেয় ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা। ডাবের জলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ যা শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে।
6
পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন পোশাক, নতুন বই, হালখাতা-মুখমিষ্টি আর পেটপুরে খাওয়া। আর বাঙালির খাওয়াদাওয়ায় কি ইলিশ না হলে চলে! কিন্তু, এবারের পয়লা বৈশাখেও এপার বাংলায় ঢুকবে না পদ্মার ইলিশ। কারণ, বাংলাদেশেই এখন খোকা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে মায়ানমার থেকে বিমানে চড়ে টাটকা ইলিশ আসছে কলকাতায়।
রাজ্য মৎস্য দপ্তর এবং ফিশ ইম্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (হিলসা) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে এপার বাংলায় পদ্মার ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবছর জামাইষষ্ঠীতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশের আমদানি শুরু হত। তবে, কম করে হলেও নববর্ষ উপলক্ষে কিছু পরিমাণে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যেত। এবং তা একেবারে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো পর্যন্ত চলত। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের নতুন মৎস্যমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দ ইলিশের উপর নিষেধাজ্ঞা[ban] তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছিলেন। তাতে হাসি ফুটেছিল এপার বাংলার ভোজন রসিকদের। কিন্তু, তা এখনও কার্যকর না হওয়ায় পদ্মার স্বাদ থেকে এবারও ব্রাত্য থাকতে হবে এপার বাংলাকে।