A Grammar of the Bengali Language Colloquial of John Beames by Rabindranath Tagore-বীম্স্ সাহেব তাঁহার ব্যাকরণে যে-সমস্ত ভুল করিয়াছেন, সেইগুলি আলোচনা ও বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলেও মাতৃভাষা সম্বন্ধে আমাদের অনেক শিক্ষালাভ হইতে পারে। অতিপরিচয়-বশত ভাষার যে-সমস্ত রহস্য সম্বন্ধে আমাদের মনে প্রশ্নমাত্র উত্থাপিত হয় না, সেইগুলি জাগ্রত হইয়া উঠে এবং বিদেশীর মধ্যস্থতায় স্বভাষার সহিত যেন নবতর এবং দৃঢ়তর পরিচয় স্থাপিত হয়।
An essay on Hinduism – By Bankim Chandra Chattophdya-যে সমাজ ধর্ম্মশূন্য, তাহার উন্নতি দূরে থাকুক, বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।3 আর তাঁহারা যদি বলেন যে, হিন্দুধর্ম্মের পরিবর্ত্তে ধর্ম্মান্তরকে সমাজ আশ্রয় করুক, তাহা হইলে আমরা জিজ্ঞাসা করি যে, কোন্ ধর্ম্মকে আশ্রয় করিতে হইবে? পৃথিবীতে আর যে কয়টি শ্রেষ্ঠ ধর্ম্ম আছে, বৌদ্ধধর্ম্ম, ইস্লামধর্ম্ম এবং খৃষ্টধর্ম্ম, এই তিন ধর্ম্মই ভারতবর্ষে হিন্দুধর্ম্মকে স্থানচ্যুত করিয়া তাহার আসন গ্রহণ করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছে ; কেহই হিন্দুধর্ম্মকে স্থানচ্যুত করিতে পারে নাই। ইস্লাম কতকগুলা বন্যজাতি এবং হিন্দুনামধারী কতকগুলা অনার্য্য জাতিকে অধিকৃত করিয়াছে বটে, কিন্তু ভারতীয় প্রকৃতি আর্য্যসমাজের কোন অংশ বিচলিত করিতে পারে নাই। ভারতীয় আর্য্য হিন্দু ছিল, হিন্দুই আছে।
Avyya: Padanvyee, Samuchchyee, Ananvyee and Dvanyatmak-উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ – বামনদেব চক্রবর্তী অব্যয় । পদান্বয়ী, সমুচ্চয়ী, অনন্বয়ী ও ধ্বন্যাত্মক অব্যয় যখন বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া বাক্যের বাহিরে থাকে তখন ইহারা শব্দ বা ধাতু। বাক্যে প্রযুক্ত হইলে ইহারা পদ-রূপে গণ্য হয়। শব্দ বা ধাতু-অবস্থায় ইহাদের যে রূপ
অভাগীর স্বর্গ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়- Avagir Sarga – Sarat Chandra-ঠাকুরদাস মুখুয্যের বর্ষীয়সী স্ত্রী সাতদিনের জ্বরে মারা গেলেন। বৃদ্ধ মুখোপাধ্যায় মহাশয় ধানের কারবারে অতিশয় সঙ্গতিপন্ন। তাঁর চার ছেলে, তিন মেয়ে, ছেলেমেয়েদের ছেলে-পুলে হইয়াছে, জামাইরা—প্রতিবেশীর দল, চাকর-বাকর—সে যেন একটা উৎসব বাঁধিয়া গেল। সমস্ত গ্রামের লোক ধূমধামের শবযাত্রা ভিড় করিয়া দেখিতে আসিল।
আদালত অবমাননা আইন ২০১৩-Adalat Abamanana Aain-2013 Bangladesh-Contempt of Courts Act-আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনের বিধানবলী সাপেক্ষে, কোন বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট বা বিচারকার্য সম্পাদনকারী অন্য কোন ব্যক্তি তাহার নিজ আদালত বা অন্য কোন আদালত অবমাননার জন্য সেইরূপে দায়ী হইবেন, সেইরূপে অন্য কোন ব্যক্তি আদালত অবমাননার জন্য দায়ী হইতে পারেন, এবং উক্তক্ষেত্রে এই আইনের বিধানাবলী যতদূর সম্ভব একইরূপে প্রযোজ্য হইবে।
আফগানিস্থান ভ্রমণ – রামনাথ বিশ্বাস 1942-আফগানিস্থান ভ্রমণ করার সময় যাহা দেখেছি এবং শুনেছি তাই লিখেছি। ১৯১৯ সালের মে মাসে আফগানিস্থান স্বাধীন হয় এবং ইহা একটি বাফার স্টেটে পরিণত হয়। যদিও আফগানিস্থান স্বাধীনতালাভ করেছিল কিন্তু নানা কারণে সাধারণ লােকের কোন উন্নতি হয় নি। রক্ষণশীলতা ও সনাতন আচার-পদ্ধতির বেড়াজাল ছাড়িয়ে যেতে যে পরিমাণ শিক্ষা এবং আন্দোলনের আবশ্যক, আফগানিস্থানে তার অভাব দেখেছি। রাজা আমানউল্লা নূতন জগতের নূতন ধারায় দেশটাকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে অবসর তিনি পান নি। যে পরিবর্তন ও উন্নতি আফগানিস্থানে এখনও আসে নি এক দিন সেই পরিবর্তন নিশ্চয় আসবে, আফগানিস্থানের জনগণ চারিদিকের দৃষ্টান্ত দেখে উদ্বুদ্ধ হবে।
আবোল তাবোল-সুকুমার রায় (Abol Tabol by Sukumar Roy-1923)-Collection of weird and absurd poems by Sukumar Roy in Bengali language, Katth Buro-Head Officer Borobabu-Kumro Potash-Sat Patro-Chandidaser Khuroe -Bombagorer Raja- Hnukumukho Hyangla-Ramgorurer Chhana
আমরা ফিরিঙ্গি হইতে চাই না, আমরা দ্বিজ হইতে চাই – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Brahman by Rabindranath Thakur] 1937-সেই বৃহৎ সমাজের আদর্শ রক্ষা করিবার ও বিধিবিধান স্মরণ করাইয়া দিবার ভার ব্রাহ্মণের উপর ছিল। ব্রাহ্মণ এই সমাজের চালক ও ব্যবস্থাপক। এই কার্যসাধনের উপযোগী সম্মানও তাঁহার ছিল।ব্রাহ্মণও যখন আপন কর্তব্য পরিত্যাগ করিয়াছে তখন কেবল গায়ের জোরে পরলোকের ভয় দেখাইয়া সমাজের উচ্চতম আসনে আপনাকে রক্ষা করিতে পারে না।কিন্তু যে ব্রাহ্মণ সাহেবের আপিসে নতমস্তকে চাকরি করে, যে ব্রাহ্মণ আপনার অবকাশ বিক্রয় করে, আপনার মহান্ অধিকারকে বিসর্জন দেয়, যে ব্রাহ্মণ বিদ্যালয়ে বিদ্যাবণিক, বিচারালয়ে বিচারব্যবসায়ী, যে ব্রাহ্মণ পয়সার পরিবর্তে আপনার ব্রাহ্মণ্যকে ধিক্কৃত করিয়াছে–সে আপন আদর্শ রক্ষা করিবে কী করিয়া?আমাদের সমাজে ব্রাহ্মণের কাজ পুনরায় আরম্ভ হইবে, এ সম্ভাবনাকে আমি সুদূরপরাহত মনে করি না এবং এই আশাকে আমি লঘুভাবে মন হইতে অপসারিত করিতে পারি না। ভারতবর্ষের চিরকালের প্রকৃতি তাহার ক্ষণকালের বিকৃতিকে সংশোধন করিয়া লইবেই।আমরা ফিরিঙ্গি হইতে চাই না, আমরা দ্বিজ হইতে চাই।
আমার কথা Amar Katha-Saratchandra Chatterjee-1922-হাবড়া জেলা কংগ্রেস-কমিটির আমি ছিলাম সভাপতি। আমি ও আমার সহকারী বা সহকর্মী যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই পদত্যাগ করেছেন।এর পরে এ জেলায় কংগ্রেস কমিটি থাকবে কি থাকবে না, আমি জানিনে। থাকতে পারে, না থাকাও বিচিত্র নয়; কিন্তু সে যাই হোক ভেতরে যার ক্ষত, বাইরে তাকে অক্ষত দেখানোর পাপ আমি করতে চাইনে।
ইতিহাস : – উত্তরে উত্তরপাড়া (Uttare Uttarpara-Alak Bhattacharyya)-ক অতি সমৃদ্ধশালী প্রাচীন ঐতিহাসিক নগর, বয়সে কলকাতা মহানগরের থেকে মোটেই ছোট নয় । আচ্ছা, উত্তরপাড়া নাম কেন ? আমার নাতনি উত্তর দিলো, উত্তরে তাই উত্তরপাড়া। তা হলে, কার উত্তরে ? উত্তর আছে মানচিত্রে । হাওড়ার শেষ উত্তরে বালিগ্রাম / এখন শহর। তার লাগোয়া উত্তরে বালিখাল পেরিয়ে হুগলি জেলার প্রথম শহরটি উত্তরপাড়া। একটি অতি সুন্দর তোরণ আপনাকে স্বাগত জানাবে, ইউ আর নাও উত্তরপাড়া। ডানদিকে ঘাড়টা কাত করুন , দেখতে পাবেন গঙ্গার ওপর পারে রাণীরাসমনির সেই বিখ্যাত ভবতারিণী মন্দির, পরমাহংসদেবের লীলাক্ষেত্র।
ঋগ্বেদের দেবী সূক্ত-আমি দুষ্টের দমকারী এবং পৃথিবী আদি সমস্ত লোকের সাথে বাপ্য। আমি ১২ মাস এবং সমস্ত তেজোময় পদার্থের সাথে ব্যাপ্য। দিন এবং রাত্রী উভয় কে আমিই ধারণ করি। সূর্য ও অগ্নি, দ্যুলোক ও পৃথিবীলোক উভয় কেও আমিই ধারণ করি।
এই কি ব্রাহ্ম বিবাহ-শিবনাথ শাস্ত্রী- Ei ki Brahma Bibaha Sivanath Sastri-সে যাহা হউক, পূৰ্ব্বোক্ত কথা গুলির মধ্যে একটী ভয়ঙ্কর মত লুকাইয়া রহিয়াছে; বিশেষতঃ ব্রাহ্ম ভিন্ন অপরের ধরিবার উপায় নাই। সে মতটী এই, কেশব বাবু বর্তমান সময়ের জগতের মুক্তির পন্থা আবিষ্কার করিবার জন্য বিশেষ ভাবে প্রেরিত; তাঁহার অবলম্বিত প্রচার প্রণালী ও সমুদায় আধ্যাত্মিক উপায়ের নাম বিশেষ বিধান। তিনি সাধারণ ব্যক্তিগণ অপেক্ষ স্বতন্ত্র। অন্য ব্যক্তিদিগের সমুদায় কৰ্ম্ম নিজ বুদ্ধির অধীন হইয়া থাকে কেশব বাবুর দৈনিক আহার পর্য্যন্ত ঈশ্বরাদেশে হইয়া থাকে। প্রতাপ বাবু ও গৌর বাবু স্পষ্টাক্ষরে বলিয়াছেন কেশব বাবু নিজে এই রূপ বিশ্বাস করেন।
ঔপনিষদ ব্রহ্ম – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- Oupanishad Brahma- Rabindranath Thakur-সেই প্রাচীন মহারণ্যবাসী বৃদ্ধ পিপ্পলাদ ঋষি এবং স্ককেশা চ ভারদ্বাজ শৈবশ সত্যকামঃ, সৌৰ্য্যায়নী চ গার্গ্যঃ, কৌশল্যাশ্চাশ্বলায়নো ভার্গবো বৈদভি: কবন্ধী কাত্যায়নস্তে হৈতে ব্ৰহ্মপরা ব্রহ্মনিষ্ঠা: পরং ব্রহ্মান্বেষমাণাঃ– সেই ভরদ্বাজপুত্র মুকেশ, শিবিপুত্র সত্যকাম, সৌৰ্য্যপুত্র গার্গ্য, অশ্বলপুত্র কৌশল্য, ভৃগুপুত্র বৈদভি, কাত্যায়নপুত্র কবন্ধী, সেই ব্ৰহ্মপর ব্রহ্মনিষ্ঠ পরংব্ৰহ্মান্বেষমাণ ঋষিপুত্ৰগণ, যাহারা সমিং হস্তে বনস্পতিচ্ছায়াতলে গুরুসন্মুখে সমাসীন হইয়া ব্রহ্মজিজ্ঞাসা করিতেন র্তাহাদের সহিত আমাদের তুলনা হয় না । ন হইতে পারে, ঋষিদের সহিত আমাদের প্রভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু সত্য এক, ধৰ্ম্ম এক, ব্রহ্ম এক ;—যাহাতে ঋষিজীবনের সার্থকতা, আমাদের জীবনের সার্থকতাও তাহাতেই
ঔরঙ্গজেব কর্ত্তৃক গোবিন্দ মাণিক্যের নিকট লিখিত পত্র- Aurangzeb`s letter to the Tripura king Govinda Manikya-আমি সুনিশ্চিতরূপে অবগত হইয়াছি যে, আমার চিরশত্রু সুজা ভবদীয় রাজ্যে গোপনে অবস্থান করিতেছে। মদীয় পূৰ্ব্বপুরুষের সম্মানিত মহোদয়গণের সহিত আপনার গৌরবান্বিত পূৰ্ব্বপুরুষগণের পরস্পর আত্মীয়তা ও প্রণয় থাকা বশতঃ আমাদিগের সহিত বিবাদে লিপ্ত দুর্ভাগ্য আফ্গানেরা ভবদীয় রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিলে আপনার মহামান্য পূৰ্ব্বপুরুষগণ অসিপ্রহারে যেরূপ সেই দুষ্ট আফগানদিগকে বঙ্গদেশে বিতাড়িত করিতেন, বৰ্ত্তমানে আমিও তদ্রূপ আশা করি
কলকাতার বিশেষ খাবার – না খেলে জীবন বৃথা-আওধের বিরিয়ানি ।
আগমনীর লাল ক্ষীর দই আর সরভাজা।
আহিরিটোলা- ভূতনাথ লিট্টি।
আহিরিটোলা সাধুর চা।
ইন্ডিয়ান কফি হাউসে কফি
এম জি রোড বড়বাজার দেশবন্ধু মিষ্টান্নর সীতাভোগ ও সিঙাড়া।
কৃষ্ণচরিত্র- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় [Krishna Charitra by Bankim Chandra]-কৃষ্ণচরিত্র-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - ভারতবর্ষের অধিকাংশ হিন্দুর, বাঙ্গালা দেশের সকল হিন্দুর বিশ্বাস যে, শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের অবতার। কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ং—ইহা তাঁহাদের দৃঢ় বিশ্বাস। বাঙ্গালা প্রদেশে, কৃষ্ণের উপাসনা প্রায় সর্বব্যাপক। গ্রামে গ্রামে কৃষ্ণের মন্দির, গৃহে গৃহে কৃষ্ণের পূজা, প্রায় মাসে মাসে কৃষ্ণোৎসব, উৎসবে উৎসবে কৃষ্ণযাত্রা, কণ্ঠে কণ্ঠে কৃষ্ণগীতি, সকল মুখে কৃষ্ণনাম। কাহারও গায়ে দিবার বস্ত্রে কৃষ্ণনামাবলি, কাহারও গায়ে কৃষ্ণনামের ছাপ। কেহ কৃষ্ণনাম না করিয়া কোথাও যাত্রা করেন না; কেহ কৃষ্ণনাম না লিখিয়া কোন পত্র বা কোন লেখাপড়া করেন না; ভিখারী “জয় রাধে কৃষ্ণ” না বলিয়া ভিক্ষা চায় না। কোন ঘৃণার কথা শুনিলে “রাধে কৃষ্ণ!” বলিয়া আমরা ঘৃণা প্রকাশ করি; বনের পাখী পুষিলে তাহাকে “রাধে কৃষ্ণ” নাম শিখাই। কৃষ্ণ এদেশে সর্বব্যাপক।
কৃষ্ণচরিত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-Krishna Charitra- Rabindranath-আমাদের মতে ‘কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থের নায়ক কৃষ্ণ নহেন, তাহার প্রধান অধিনায়ক, স্বাধীন বুদ্ধি, সচেষ্ট চিত্তবৃত্তি। প্রথমত বঙ্কিম বুঝাইয়াছেন, জড়ভাবে শাস্ত্রের অথবা লোকাচারের অনুবর্তী হইয়া আমরা পূজা করিব না, সতর্কতার সহিত আমাদের মনের উচ্চতম আদর্শের অনুবর্তী হইয়া পূজা করিব। তাহার পরে দেখাইয়াছেন, যাহা শাস্ত্র তাহাই বিশ্বাস্য নহে, যাহা বিশ্বাস্য তাহাই শাস্ত্র। এই মূল ভাবটিই ‘কৃষ্ণচরিত্র’ গ্রন্থের ভিতরকার অধ্যাত্মশক্তি, ইহাই সমস্ত গ্রনথটিকে মহিমান্বিত করিয়া রাখিয়াছে। বর্তমান গ্রন্থে কৃষ্ণচরিত্রের শ্রেষ্ঠতা এবং ঐতিহাসিকতা প্রমাণের বিষয়। গ্রন্থের প্রথমাংশে লেখক ইতিহাস আলোচনা করিয়াছেন।
ক্ষুধিত পাষাণ-The hungry Stone-Rabindranath Tagore-আমি এবং আমার আত্মীয় পূজার ছুটিতে দেশভ্রমণ সারিয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আসিতেছিলাম, এমন সময় রেলগাড়িতে বাবুটির সঙ্গে দেখা হয়। তাহার বেশভূষা দেখিয়া প্রথমটা তাঁহাকে পশ্চিমদেশীয় মুসলমান বলিয়া ভ্রম হইয়াছিল। তাহার কথাবার্তা শুনিয়া আরো ধাঁধা লাগিয়া যায়। পৃথিবীর সকল বিষয়েই এমন করিয়া আলাপ করিতে লাগিলেন, যেন তাহার সহিত প্রথম পরামর্শ করিয়া বিশ্ববিধাতা সকল কাজ করিয়া থাকেন।
গীতার ভাষ্য ভূমিকা-শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-Preface of Bhagavad Gita – Bankim Chandra Chattopadhya-যে সকল পণ্ডিতগণ গীতার ব্যাখ্যা বাঙ্গালায় প্রচার করিয়াছেন বা করিতেছেন, আমি তাঁহাদিগের প্রতিযোগী নহি; যথাসাধ্য তাঁহাদিগের সাহায্য করি, ইহাই আমার ক্ষুদ্রাভিলাষ। আমিও যত দূর পারিয়াছি, পূর্ব্বপণ্ডিতদিগের অনুগামী হইয়াছি। আনন্দগিরি-টীকা-সম্বলিত শঙ্করভাষ্য, শ্রীধর স্বামীর কৃত টীকা রামানুজভাষ্য, মধুসূদন সরস্বতীকৃত টীকা, বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী-কৃত টীকা ইত্যাদির প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া এই টীকা প্রণয়ন করিয়াছি।
ঘরোয়া – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-শ্রীঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ ৭ আগস্ট ১৮৭১ মৃত্যু তারিখ ৫ ডিসেম্বর ১৯৫১] ঘরোয়া শ্রীঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীরানী চন্দ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ কলিকাতা প্রকাশ আশ্বিন ১৩৪৮ আমার জীবনের প্রান্তভাগে যখন মনে করি সমস্ত দেশের হয়ে কাকে বিশেষ সম্মান দেওয়া যেতে পারে তখন সর্বাগ্রে মনে পড়ে
চরিত্র-গঠন ও মানসিক উন্নতি-সুভাষচন্দ্র বসু (1926)-ভয় জয় করার উপায় শক্তিসাধনা। দুর্গা, কালী প্রভৃতি মূর্ত্তি শক্তির রূপবিশেষ। শক্তির যে কোন রূপ মনে মনে কল্পনা করিয়া তাঁহার নিকট শক্তি প্রার্থনা করিলে এবং তাঁহার চরণে মনের দুর্ব্বলতাও মলিনতা বালস্বরূপ প্রদান করিলে মানুষ শক্তিলাভ করিতে পারে। আমাদের মধ্যে অনন্ত শক্তি নিহিত হইয়াছে, সেই শক্তির বোধন করিতে হইবে। পূজার উদ্দেশ্য—মনের মধ্যে শক্তির বোধন করা। প্রত্যহ শক্তিরূপ ধ্যান করিয়া শক্তিকে প্রার্থনা করিবে এবং পঞ্চেন্দ্রিয় ও সকল রিপুকে তাঁহার চরণে নিবেদন করিবে। পঞ্চপ্রদীপ অর্থ পঞ্চেন্দ্রিয়। এই পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্যে মায়ের পূজা হইয়া থাকে। আমাদের চক্ষু আছে তাই আমরা ধূপ, গুগ্গুল প্রভৃতি সুগন্ধি জিনিষ দিয়া পূজা করি ইত্যাদি।
চাণক্যশ্লোক-Chanakya Sloka in Bengali-মূলসূত্রং প্রবক্ষ্যামি চাণক্যেন যথোদিতং।
যস্য বিজ্ঞানমাত্রেণ মূর্খো ভবতি পণ্ডিতঃ॥
যে প্রকার কহিলেন চাণক্য পণ্ডিত। সেই মত মূলসূত্র কহিব নিশ্চিত॥ যাহা জ্ঞাত হবা মাত্র জ্ঞাত হয় নীত। মূর্খের মূর্খত্ব যায় সে হয় পণ্ডিত॥
চির ঘুমের দেশে -Chira Ghumer deshe by Alak Bhattacharya-দেশে মাটির ঘর খড়ের চাল । রকে বসে মাটির উনুনে কয়লার আঁচে মা রান্না করতো । মায়ের থিওরি ছিল যেখানে যেমন সেখানে তেমন । হয়েন উ আর ইন রোম উ আর রোমান। গ্রামের প্রত্যেকটা লোক ছিল মায়ের চেনা । প্রত্যেকের আবারিত দ্বার, আপ্পায়ন এর জন্য চা মুড়ি।শীতকালটা মা দেশে কাটাতে খুব ভালোবাসতো।
চোদ্দ শতকের বাঙালী [Choddo Sataker Bangali]-অতুল সুর [Atul Sur]-১৯৬২ খ্রীস্টাব্দের ১ জলাই বিধান রায়ের মৃত্যুর পর কংগ্রেস নেতা প্রফুল্লচন্দ্র সেন নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন। কিন্তু তাঁর অনুসৃত খাদ্যনীতি জনমতের বিরুদ্ধে যাওয়ায়, ১৯৬৭ খ্রীস্টাব্দের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন ও অজয় মুখার্জির নেতৃত্বে এক যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠিত হয়। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী হওয়ায় ড. প্রফাল্ল চন্দ্র ঘোষ এক নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন । তা-ও স্বল্পকালস্থায়ী হওয়ায় ১৯৬৮ খ্রীস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। ১৯৬৯ খ্রীস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে অজয় মুখার্জির নেতৃত্বে বামফ্ৰণ্ট সরকার গঠিত হয়। মাত্র এক বছরের বেশি এ-সরকার স্থায়ী হয় না । ১৯৭০ খ্রীস্টাব্দের ১৯ মার্চ আবার রাষ্ট্রপতির শাসন প্রবর্তিত হয় । ১৯৭১ খ্রীস্টাব্দের এপ্রিল মাসে অজয় মুখার্জির নেতৃত্বে এক ডেমোক্ৰেটিক কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয় । কিন্ত দু’মাস পরে ( জুন ১৯৭১) তা ভেঙে পড়ে। তখন ( ৩০ জুন ১৯৭১) আবার রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয় । ১৯৭২-এর মার্চ মাসে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ে্র নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়। ১৯৭৭ খ্রীস্টাব্দের নিবাচনে ‘বামফ্রন্ট’ দল সাফল্য অর্জন করাতে জ্যোতি বসু, ‘বামফ্রন্ট সরকার’ গঠন করেন । এই বামফ্রন্ট সরকারই এখনও পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আছে ।
জজ্ শম্ভুনাথ পণ্ডিত – কালীময় ঘটক – 1873-অপরাপর এজ্লাসের বিচারপতিগণও উপরি উক্ত রূপ বক্তৃতা করিয়া, সকলেই সে দিবস আদালত বন্ধ করেন। জজ্ বেলি এরূপ শোকার্ত্ত হইয়াছিলেন যে, বাস্তবিক তাঁহার অশ্রুপাত হইয়াছিল। হাইকোর্ট বন্ধ হইলে গবর্ণমেণ্ট উকিল কৃষ্ণকিশোর ঘোষের পশ্চাৎ পশাৎ প্রায় দুইশত ভদ্রলোক মৃতদেহের সঙ্গে শবদাহের ঘাট পর্যন্ত গমন করেন। তাঁহার চরিত্র, কার্য্য ক্ষমতা ও সাধারণ গুণ সম্বন্ধে হাইকোর্টের বিচারপতিগণ যাহা বলিয়াছেন, তৎসম্বন্ধে তদতিরিক্ত আর কিছুই বলিবার প্রয়োজন নাই। তাঁহার যে সকল গুণ কার্য্যস্থলে প্রকাশ পাইবার সম্ভাবনা ছিল না, কেবল বন্ধুজন ও পরিজনের মধ্যেই প্রকাশ পাইত, এখন সেই সম্বন্ধে কিছু বলিবার প্রয়োজন আছে। কারণ বাহিরে অনেকেই সৎ হইতে পারেন; যিনি অন্তুরে সৎ, তিনিই অধিকতর সাধুবাদের যোগ্য।
ডাক্তারি ও কবিরাজি-রাজশেখর বসু-বিজ্ঞান কেবল বিজ্ঞানীর সম্পত্তি নয়। সাধারণ লোক আর বিজ্ঞানীর এই মাত্র প্রভেদ যে বিজ্ঞানীর সিদ্ধান্ত অধিকতর সূক্ষ্ম শৃঙ্খলিত ও ব্যাপক। আমরা সকলেই বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করিয়া জীবনযাত্রা নির্বাহ করি। অগ্নিপক্ব দ্রব্য সহজে পরিপাক হয় এই সিদ্ধান্ত অবলম্বন করিয়া রন্ধন করি, দেহ-আবরণে শীতনিবারণ হয় এই তথ্য জানিয়া বস্ত্রধারণ করি। কতক সংস্কারবশে করি, কতক দেখিয়া শুনিয়া বুঝিয়া করি। অসত্য সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করিয়াও অনেক কাজ করি বটে, কিন্তু জীবনের যাহা কিছু সফলতা তাহা সত্য সিদ্ধান্ত দ্বারাই লাভ করি।
দুর্গা -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় Durga-Bankim Chandra-আমাদিগের হিন্দু ধর্মকে সনাতন ধর্ম বলিবার কারণ এই যে, এই ধর্ম বেদমূলক। যাহা বেদে নাই, তাহা হিন্দু ধর্মের অন্তর্গত কি না সন্দেহ। যদি হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে কোন গুরুতর কথা বেদে না থাকে, তবে হয় বেদ অসম্পূর্ণ, না হয় সেই কথা হিন্দুধর্মান্তর্গত নহে। বেদ অসম্পূর্ণ ইহা আমরা বলিতে পারি না, কেন না তাহা হইলে হিন্দু ধর্মের মূলোচ্ছেদ করিতে হয়। তবে দ্বিতীয় পক্ষই এমন স্থলে অবলম্বনীয় কি না, তাহা হিন্দুদিগের বিচার্য।
দুর্গোৎসব- কালীপ্রসন্ন সিংহ Durgotsab-Kaliprasanna Simha-এবার অমুক বাবুর নতুন বাড়ীতে পূজার ভারী ধূম! প্রতিপদাদিকল্পের পর ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতের বিদায় আরম্ভ হয়েচে, আজও চোকে নাই—ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের বাড়ী গিস্গিস্ কচ্চে। বাবু দেড়ফিট উচ্চ গদীর উপর তসর কাপড় পরে বার দিয়ে বসেচেন, দক্ষিণে দেওয়ান টাকা ও সিকি আধুলির তোড়া নিয়ে খাতা খুলে বসেচেন, বামে হবীশ্বর ন্যায়ালঙ্কার সভাপণ্ডিত অনবরত নস্য নিচ্চেন ও নাসা-নিঃসৃত রঙ্গিণ কফজল জাজিমে পুঁচ্চেন। এদিকে জহুরী জড়ওয়া গহনার পুঁটুলী ও ঢাকাই মহাজন ঢাকাই শাড়ীর গাঁট নিয়ে বসেচে। মুন্সি মোশাই, জামাই ও ভাগনেবাবুরা ফর্দ্দ কচ্চেন, সামনে কতকগুলি প্ৰিতিমে-ফেলা দুর্গাদায়গ্রস্ত ব্রাহ্মণ, বাইয়ের দালাল, যাত্রার অধিকারী ও গাইয়ে ভিক্ষুক ‘যে আজ্ঞা’ ‘ধৰ্ম্ম অবতার’ প্রভৃতি প্রিয় বাক্যের উপহার দিচ্চেন; বাবু মধ্যে মধ্যে কীরেও এক আধটা আগমনী গাইবার ফরমান কচ্চেন।
দেবতায় মনুষ্যত্ব আরোপ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Devatai Manusatta Arop-Rabindranath-গ্রীসীয়গণ এমন অসভ্য ছিল যে, কুটুম্ব মাংস ভক্ষণ করিত, অথবা কুটুম্ব মাংস ভক্ষণ করা অন্যায় মনে করিত না? রজনী ও প্রভাত সম্বন্ধে এক সমস্যা শুনিয়াছিলাম, যে, জন্মাইয়া মাকে সন্তান খাইয়া ফেলিতেছে। উপরি-উক্ত গ্রীসীয় কাহিনীও কি সেরূপ কোনো একটা রূপকমূলক হইতে পারে না? যদি ইহা সত্য হয় যে, গ্রীসীয়গণ কুটুম্বকে ভক্ষণ করিত না ও কুটুম্ব ভক্ষণ করা পাপ মনে করিত, তবে তাহাদের দেবতাদের কেন কুটুম্ব মাংসে প্রবৃত্তি জন্মিল। যদি বল, অসভ্য অবস্থায় এককালে হয়তো গ্রীসীয়গণ আত্মীয়দিগকে উদরসাৎ করিয়া অধিকতর আত্মীয় করিত, সেই সময়েই উক্ত কাহিনীর আরম্ভ হয়—তবে, যখন সভ্য অবস্থায় গ্রীসীয়দের সে বিষয়ে মত ও আচরণ পরিবর্তিত হইল, তখন তাহাদের বিশ্বাসও পরিবর্তিত হইল না কেন?
ধর্মপ্রচার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Dharma Prachar- Rabindranath Thakur-ধর্মকে যাহারা সম্পূর্ণ উপলব্ধি না করিয়া প্রচার করিতে চেষ্টা করে, তাহারা ক্রমশই ধর্মকে জীবন হইতে দূরে ঠেলিয়া দিতে থাকে। ইহারা ধর্মকে বিশেষ গণ্ডি আঁকিয়া একটা বিশেষ সীমানার মধ্যে বন্ধ করে। ধর্ম বিশেষ দিনের বিশেষ স্থানের বিশেষ প্রণালীর ধর্ম হইয়া উঠে। তাহার কোথাও কিছু ব্যত্যয় হইলেই সম্প্রদায়ের মধ্যে হুলুস্থূল পড়িয়া যায়। বিষয়ী নিজের জমির সীমানা এত সতর্কতার সহিত বাঁচাইতে চেষ্টা করে না, ধর্মব্যবসায়ী যেমন প্রচণ্ড উৎসাহের সহিত ধর্মের স্বরচিত গণ্ডি রক্ষা করিবার জন্য সংগ্রাম করিতে থাকে। এই গণ্ডিরক্ষাকেই তাহারা ধর্মরক্ষা বলিয়া জ্ঞান করে।
নববর্ষ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – Navavarsha-Rabindranath Tagore-নববর্ষের প্রাতঃসূর্যালোকে দাঁড়াইয়া অদ্য আমাদের হৃদয়কে চারিদিক হইতে আহ্বান করি। ভারতবর্ষের যে পৈতৃক মঙ্গলশঙ্খ গৃহের প্রান্তে উপেক্ষিত হইয়া পড়িয়া আছে সমস্ত প্রাণের নিশ্বাস তাহাতে পরিপূর্ণ করি–সেই মধুর গম্ভীর শঙ্খধ্বনি শুনিলে আমাদের বিক্ষিপ্ত চিত্ত অহংকার হইতে স্বার্থ হইতে বিলাস হইতে প্রলোভন হইতে ছুটিয়া আসিবে। আজ শতধারা একধারা হইয়া গোমুখীর মুখনিঃসৃত সমুদ্রবাহিনী গঙ্গার ন্যায় প্রবাহিত হইবে–তাহা হইলে মুহূর্তের মধ্যে প্রান্তরশায়ী এই নির্জন তীর্থ যথার্থই হরিদ্বার তীর্থ হইয়া উঠিবে।
নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন 2019-হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সী বা আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তি, যিনি ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন এই আইনের উদ্দেশ্যে অবৈধ অভিবাসী হিসাবে গণ্য হইবে না;
নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ কনভেনশন (১৯৯৮)-কনভেনশনের শর্তানুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষসমূহের প্রতি নারীর মৌলিক মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; নারী পাচার ও পতিতাবৃত্তিতে নারীর শোষণ রোধ নিশ্চিত করা; রাজনৈতিক ও লোকজীবনে নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসান; জাতীয়তা অর্জন, পরিবর্তন বা বহাল রাখার সমান অধিকার নিশ্চিত করা; শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ও সমাজ জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্যের অবসান ঘটানোর জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যান্য ধারায় গ্রামীণ নারীর সমস্যা, আইনের দৃষ্টিতে সমতা এবং বিবাহ ও পারিবারিক জীবনে নারীর প্রতি বৈষম্যের অবসান সংক্রান্ত বিষয়গুলো রয়েছে। কনভেনশনে নারীর নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক ও লোকজীবনে অংশগ্রহণ এবং সরকারের সকল পর্যায়ে সকল কাজ করার অধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি ও ওবিসিদের তালিকা-এসসি/এসটি/ওবিসি সার্টিফিকেট (বর্ণ সনদ) সব উপ-বিভাগে SDOs দ্বারা ইস্যু করা হয় । কলকাতায় এ ধরনের শংসাপত্র জারি করে কলকাতার DWO । তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (আইডেন্টিফিকেশন) আইন, 1994-এর ক্ষেত্রে এসসি & ST-র জন্য জাতিগত শংসাপত্র ইস্যু করা হয় । ওবিসি সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তি নং 347-TW/ইসি তারিখ 13-07-1994 ।
পাগল হাওয়া-কি আমার মতন তুমিও হারিয়ে গেলে-পাগল হাওয়া কি আমার মতন তুমিও হারিয়ে গেলে ফুলেরও বনে হাজারও রঙের মেলায় সুরভি লুটের খেলায় তারে নাহি পেলে বসন্ত যখন এসে ঢেকে যায় আমারে কি জানি কি বা রূপে সে আসে চুপে চুপে জড়াতে চায় আমারে বনে বনে তখন
পাণ্ডবদিগের ঐতিহাসিকতা ইউরোপীয় মত-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-Historicity of Pandavas as per Europeans-ফলে মহাভারতের যে অংশ মৌলিক, তাহার লিখিত বৃত্তান্ত ও পাণ্ডবাদি নায়ক সকল কল্পনাপ্রসূত, এরূপ বিবেচনা করিবার কোন উপযুক্ত কারণ এ পর্যন্ত নির্দিষ্ট হয় নাই। যাহা নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাহার সকলই এইরূপ অকিঞ্চিৎকর। সকলগুলির প্রতিবাদ করিবার এ গ্রন্থে স্থান হয় না। মহাভারতের অনেক ভাগ প্রক্ষিপ্ত, ইহা আমি স্বীকার করিয়াছি। কিন্তু পাণ্ডবাদির সকল কথা প্রক্ষিপ্ত নহে।এক্ষণে ইহাও বক্তব্য যে, কেবল পাণিনির নয়, আশ্বলায়ন ও সাংখ্যায়ন গৃহ্যসূত্রেও মহাভারতের প্রসঙ্গ আছে। অতএব মহাভারতের প্রাচীনতা সম্বন্ধে বড় গোলযোগ করার কাহারও অধিকার নাই।
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন ২০১৩- Pita Matar Bharan Poshan Aain-2013-পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করিবার দণ্ড-কোন সন্তান কর্তৃক ধারা ৩ এর যে কোন উপ-ধারার বিধান কিংবা ধারা ৪ এর বিধান লংঘন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে; বা উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
পোস্ট্মাস্টার-Post Master-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-আমাদের পোস্ট্মাস্টার কলিকাতার ছেলে। জলের মাছকে ডাঙায় তুলিলে যেরকম হয়, এই গণ্ডগ্রামের মধ্যে আসিয়া পোস্ট্মাস্টারেরও সেই দশা উপস্থিত হইয়াছে। একখানি অন্ধকার আটচালার মধ্যে তাঁহার আপিস ; অদূরে একটি পানাপুকুর এবং তাহার চারি পাড়ে জঙ্গল। কুঠির গোমস্তা প্রভৃতি যে-সকল কর্মচারী আছে তাহাদের ফুরসত প্রায় নাই এবং তাহারা ভদ্রলোকের সহিত মিশিবার উপযুক্ত নহে।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র/চুক্তির তালিকা (২৯ অক্টোবর, ২০১৯)-প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র/চুক্তির তালিকা (২৯ অক্টোবর, ২০১৯) নয়াদিল্লি, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯ Read it in English ক্রমিক সংখ্যা সমঝোতাপত্র / চুক্তি ভারতের হয়ে স্বাক্ষরকারী সৌদি আরবের হয়ে স্বাক্ষরকারী ১ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ কাউন্সিল চুক্তি প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও
প্রাচীন ভারতবর্ষের রাজনীতি-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-Politics of Ancient India-Bankim Chandra-মহাভারতের সভাপর্ব্বে দেবর্ষি নারদ যুধিষ্ঠিরকে প্রশ্নচ্ছলে কতকগুলি রাজনৈতিক উপদেশ দিয়াছেন। প্রাচীন ভারতে রাজনীতি কত দূর উন্নতি প্রাপ্ত হইয়াছিল, উহা তাহার পরিচয়। মুসলমানদিগের অপেক্ষা হিন্দুরা যে রাজনীতিতে বিজ্ঞতর ছিলেন, উহা পাঠ করিলে সংশয় থাকে না। প্রাচীন রোমক এবং আধুনিক ইউরোপীয়গণ ভিন্ন আর কোন জাতি তাদৃশ উন্নতি লাভ করিতে পারে নাই। ভারতবর্ষীয় রাজারা যে অন্যান্য সকল জাতির অপেক্ষা অধিক কাল আপনাদিগের গৌরব রক্ষা করিয়াছিলেন, এই রাজনীতিজ্ঞতা তাহার এক কারণ। হিন্দুদিগের ইতিবৃত্ত নাই; এক একটি শাসনকর্ত্তার গুণগান করিয়া শত শত পৃষ্ঠা লিখিবার উপায় নাই। কিন্তু তাঁহাদিগের কৃত কার্য্যের যে কিছু পরিচয় পাওয়া যায়, তাহাতেই অনেক কথা বলা যাইতে পারে।
প্রাচীন ভারতের ‘একঃ’-Prachin Bharater Ekah-Rabindranath Tagore-হে অক্ষরপুরুষ, পুরাতন ভারতবর্ষে তোমা হইতে যখন পুরাণী প্রজ্ঞা প্রসৃত হইয়াছিল, তখন আমাদের সরলহৃদয় পিতামহগণ ব্রহ্মের অভয় ব্রহ্মের আনন্দ যে কী, তাহা জানিয়াছিলেন। তাঁহারা একের বলে বলী, একের তেজে তেজস্বী, একের গৌরবে মহীয়ান হইয়াছিলেন। পতিত ভারতবর্ষের জন্য পুনর্বার সেই প্রজ্ঞালোকিত নির্মল নির্ভয় জ্যোতির্ময় দিন তোমার নিকটে প্রার্থনা করি। পৃথিবীতলে আর-একবার আমাদিগকে তোমার সিংহাসনের দিকে মাথা তুলিয়া দাঁড়াইতে দাও। আমরা কেবল যুদ্ধবিগ্রহ-যন্ততন্ত্র-বাণিজ্যব্যবসায়ের দ্বারা নহে, আমরা সুকঠিন সুনির্মল সন্তোষবলিষ্ঠ ব্রহ্মচর্যের দ্বারা মহিমান্বিত হইয়া উঠিতে চাহি। আমরা রাজত্ব চাই না, প্রভুত্ব চাই না, ঐশ্বর্য চাই না, প্রত্যহ একবার ভূর্ভুবঃস্বর্লোকের মধ্যে তোমার মহাসভাতলে একাকী দণ্ডায়মান হইবার অধিকার চাই।
বিশ্বভারতী: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-আমাদের জাতীয় চরিত্রে কী কী অভাব আছে, কী কী আমাদের বাইরে থেকে আহরণ করতে হবে। আমাদের মূল ত্রুটি হচ্ছে, আমরা বড়ো একপেশে—ইমোশনাল। আমাদের ভিতরে will ও intellect-এর মধ্যে, সব্জেক্টিভিটি ও অব্জেক্টিভিটির মধ্যে চিরবিচ্ছেদ ঘটেছে। আমরা হয় খুব সব্জেক্টিভ্, নয়তো খুব য়ুনিভার্সাল। অনেক সময়েই আমরা য়ুনিভার্সালিজ্মের বা সাম্যের চরম সীমায় চলে যাই, কিন্তু differentiation-এ যাই না। আমাদের অব্জেক্টিভিটির পূর্ণ বিকাশ হওয়া দরকার। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও অব্জার্ভেশনের ভিতর দিয়ে মনের সত্যানুবর্তিতাকে ও শৃঙ্খলাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আমাদের intellect-এর character-এর অভাব আছে, সুতরাং আমাদের intellectual honesty-র প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। তা হলেই দেখব যে, কর্তব্যবোধ জাগ্রত হয়েছে। অন্য দিকে আমাদের moral ও personal responsibilityর বোধকে জাগাতে হবে, Law, Justice ও Equality-র যা লুপ্ত হয়ে গেছে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে—এ-সকল বিষয়ে আমাদের শিক্ষা আহরণ করতে হবে। আমাদের মধ্যে বিশ্বকে না পেলে আমরা নিজেকে পাব না। তাই বিশ্বরূপকে প্রতিষ্ঠিত করে আমরা আত্মপরিচয় লাভ করব এবং আমাদের বাণী বিশ্বকে দেব।
ব্রাহ্মণ্যশাস্ত্রের মায়াবাদ ও অদ্বৈতবাদ- আঁদ্রে শেভ্রিয়োঁ-বৈদিক কবি প্রকৃতির জীবন্ত ও দেবোপম শক্তিগুলির পূজা করেন বটে, কিন্তু তাঁহার এই অদ্বৈতধৰ্ম্ম একটু বিশেষ ধরণের। ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি, সূৰ্য্য এই সকল দেবাত্মা বটে, কিন্তু ইহাদের ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য তেমন সুস্পষ্ট নহে—ইহাদের পরস্পরের মধ্যে আকার-বিনিময় ও পরিবর্ত্তন চলিতেছে। এই উষাই সুৰ্য্য, এই সূৰ্য্যই অগ্নি, এই অগ্নিই বিদ্যুৎ, এই বিদ্যুৎই ঝটিকা এবং এই ঝটিকাই বৃষ্টি; সকলই পরস্পরের মধ্যে যুক্ত, মিশ্রিত এবং ওতপ্রোত। ইহার মধ্যে কিছুই স্থায়ী নহে। মনুষ্যের মধ্যেও স্থায়ী ব্যক্তিত্বের ভাব নাই—বাহ্যজগতেও কেবলি পরিবর্ত্তন। এই ভাবটি বেদেতে যাহা বীজরূপে অবস্থিত, তাহা ব্রাহ্মণদিগের পুরাতন দার্শনিক কাব্যসমূহে বৰ্দ্ধিত ও পরিপুষ্ট হইয়া ক্রমশঃ বৃক্ষরূপে পরিণত হইয়াছে
ভগবদ্বচনামৃতম্- Bhagavad Vachanamritam- Sridhar Deva Goswami-শ্রীকৃষ্ণচরণে প্রপন্নগণের ও একমাত্র কৃষ্ণের প্রীতিবাঞ্ছাকারিগণের সমস্ত আর্ত্তি ও অজ্ঞান-হরণকারী এবং সমগ্র অভীষ্ট সেবাসুখপ্রদানকারী ভক্তপ্রাণসঞ্জীবক সাক্ষাৎ শ্রীভগবানের শ্রীমুখবাক্যামৃত শ্রীমদ্ভাগবত ও গীতা প্রভৃতি শাস্ত্র হইতে এখানে সংগৃহীত হইয়াছে
ভুবনেশ্বরের মন্দির-Bhubaneswar Temple-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-মানবের মধ্যে দেবতার প্রকাশ, সংসারের মধ্যে দেবতার প্রতিষ্ঠা, আমাদের প্রতি মুহুর্তের সুখদুঃখের মধ্যে দেবতার সঞ্চার, ইহাই নবহিন্দুধর্মের মর্মকথা হইয়া উঠিল। শাক্তের শক্তি, বৈষ্ণবের প্রেম, ঘরের মধ্যে ছড়াইয়া পড়িল; মানুষের ক্ষুদ্র কাজে-কর্মে শক্তির প্রত্যক্ষ হাত, মানুষের স্নেহপ্রীতির সম্বন্ধের মধ্যে দিব্যপ্রেমের প্রত্যক্ষ লীলা অত্যন্ত নিকটবর্তী হইয়া দেখা দিল।
মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসের নেতৃত্ব পরিত্যাগ করিয়াছেন-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-সংবাদ আসিয়াছে, মহাত্মা গান্ধী কংগ্রেসের নেতৃত্ব পরিত্যাগ করিয়াছেন। খবরটা আকস্মিক নয়। কিছুদিন যাবৎ এমন একটা সম্ভাবনা বাতাসে ভাসিতেছিল, মহাত্মা রাজনীতির প্রবাহ হইতে আপনাকে অপস্থত করিয়া স্বী বিশাল ব্যক্তিত্ব, বিরাট কৰ্ম্মশক্তি ও একাগ্রচিত্ত ভারতের আর্থিক, নৈতিক ও সামাজিক সমস্তার সমাধানে নিয়োজিত করিবেন। তাহাই হইয়াছে। দেখা গেল, জাতীয় মহাসমিতির সভামণ্ডপে বহু কৰ্মী, বহু ভক্ত, বহু বন্ধুজনের আবেদন-নিবেদন অনুনয়-বিনয় তাহাকে সঙ্কল্পচু্যত করিতে পারে নাই। পারার কথাও নয়। বহুবার বহু বিষয়েই প্রমাণিত হইয়াছে, অশ্রুধারার প্রবলতা দিয়া কোনদিন মহাত্মাঙ্গীকে বিচলিত করা যায় না। কারণ, তার নিজের যুক্তি ও বৃদ্ধির বড় সংসারে আর কিছু আছে, বোধ হয় তিনি ভাবিতেই পারেন না। কিন্তু তাই বলিয়া এই কথাই বলি না, এ বৃদ্ধি সামান্ত বা সাধারণ।
রামমোহন রায় (Rammohan ray) by Rabindranath-1896-একদা পিতৃদেবের নিকট শুনিয়াছিলাম যে, বাল্যকালে অনেক সময়ে রামমোহন রায় তাঁহাকে গাড়ি করিয়া স্কুলে লইয়া যাইতেন; তিনি রামমোহন রায়ের সম্মুখবর্তী আসনে বসিয়া সেই মহাপুরুষের মুখ হইতে মুগ্ধদৃষ্টি ফিরাইতে পারিতেন না, তাঁহার মুখচ্ছবিতে এমন একটি সুগভীর সুগম্ভীর সুমহৎ বিষাদচ্ছায়া সর্বদা বিরাজমান ছিল।
রামায়ণ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৭ [Ramayan Rabindranath Thakur]-রামায়ণ-মহাভারতকে যখন জগতের অন্যান্য কাব্যের সহিত তুলনা করিয়া শ্রেণীবদ্ধ করা হয় নাই তখন তাহাদের নাম ছিল ইতিহাস। এখন বিদেশীয় সাহিত্যভাণ্ডারে যাচাই করিয়া তাহাদের নাম দেওয়া হইয়াছে ‘এপিক'। আমরা এপিক শব্দের বাংলা নামকরণ করিয়াছি মহাকাব্য। এখন আমরা রামায়ণ-মহাভারতকে মহাকাব্যই বলিয়া থাকি।
রেলওয়ে- কালীপ্রসন্ন সিংহ Railway-Kaliprasanna Simha-দুর্গোৎসবের ছুটীতে হাওড়া হতে এলাহাবাদ পর্য্যন্ত রেলওয়ে খুলেছে; রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাল কাল অক্ষরে ছাপানো ইংরাজী বাঙ্গালায় এস্তাহার মারা গেছে। অনেকেই আমোদ করে বেড়াতে যাচ্চেন-তীর্থযাত্রীও বিস্তর। শ্ৰীপাট নিমতলার প্রেমানন্দ দাস বাবাজীও এই অকাশে বারাণসী দর্শন কত্তে কৃতসঙ্কল্প হয়েছিলেন। প্রেমানন্দ বাবাজী শ্রীপাট জোড়াসাঁকোর প্রধান মঠের একজন কেষ্টবিষ্ণুর মধ্যে; বাবাজীর অনেক শিষ্য-সেবক ও বিষয়-আশয়ও প্রচুর ছিল; বাবাজীর শরীর স্কুল ভুঁড়িটি বড় তাকিয়ার মত প্রকাণ্ড; হাত পাগুলিও তদনুরূপ মাংসল ও মেদময়।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা প্রথম অধ্যায় (অর্জুনবিষাদযোগ:)-জগদীশচন্দ্র ঘোষ-Gita by Jagadish Ghosh-কুরুক্ষেত্র চিরকালই পরম পুণ্যভূমি বলিয়া পরিচিত । জাবাল উপনিষদে ও শতপথব্রাহ্মণে ইহাকে দেবযজন অর্থাৎ দেবতাদের ‘যজ্ঞস্থান’ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে । ইহার প্রাচীন নাম সমন্তপঞ্চক । পরশুরাম একুশ বার পৃথিবী নিঃক্ষত্রিয় করিয়া এই স্থানে পিতৃ-তর্পণ করিয়াছিলেন । দুর্যোধনাদির পূর্বপুরুষ বিখ্যাত কুরু রাজা এই স্থানে হল-চালনা করিয়া এই বর লাভ করিয়াছিলেন যে, যে-ব্যক্তি এই স্থানে তপস্যা করিবে অথবা যুদ্ধে প্রাণত্যাগ করিবে, সে স্বর্গে গমন করিবে । তদবধিই ইহার নাম কুরুক্ষেত্র । প্রাচীন গ্রন্থাদীতে সর্বত্রই কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে
শ্রীশ্রীপ্রেমবিবর্ত্ত- গ্রন্থরচনা-চৈতন্য আমার প্রভু চৈতন্যে না ছাড়ি কভু
সেই মোর প্রাণের ঈশ্বর ।
যে “চৈতন্য” বলি’ ডাকে উঠে কোল দিই তাকে
সেই মোর প্রাণের সোদর
সমাজ-ধর্মের মূল্য – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-দেশ ব্রাহ্মদের বিদ্রোহী মেচ্ছ খ্ৰীষ্টান মনে করিত্বে লাগিল। তাহারা জাতিভেদ তুলিয়া দিলেন, আচার-বিচার মানিলেন না, সপ্তাহ অস্তে একদিন গির্জার মত সমাজগৃহে বা মন্দিরের মধ্যে জুতা-মোজা পায়ে দিয়া ভিড় করিয়া উপাসনা করিতে লাগিলেন । এত অল্প সময়ের মধ্যে র্তাহারা এত বেশি সংস্কার করিয়া ফেলিলেন যে, তাহাদের সমস্ত কাৰ্য্যকলাপই তৎকাল-প্রতিষ্ঠিত আচার-বিচারের সহিত একেবারে উল্টা বলিয়া লোকের চক্ষে পড়িতে লাগিল। ইহা যে হিন্দুর পরমসম্পদ বেদমূলক ধৰ্ম্ম, একথা কেহই বুঝিতে চাহিল না। আজও পাড়াগায়ের লোক ব্রাহ্মদের খ্ৰীষ্টান বলিয়াই মনে করে ।
সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি-Sahitye Art o durniti- Saratchandra Chatterjee-কিন্তু সাহিত্যের আর একটা দিক আছে, সেটা বুদ্ধি ও বিচারের বস্তু। যুক্তি দিয়ে আর একজনকে তা বুঝান যায়। আমি এই দিকটাই আজ বিশেষ করে আপনাদের কাছে উদ্ঘাটিত করতে চাই। বিষ্ণুশর্মার দিন থেকে আজও পর্যন্ত আমরা গল্পের মধ্য থেকে কিছু একটা শিক্ষা লাভ করতে চাই। এ প্রায় আমাদের সংস্কারের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে। এদিকে কোন ত্রুটি হলে আর আমরা সইতে পারিনে। সক্রোধ অভিযোগের বান যখন ডাকে, তখন এই দিককার বাঁধ ভেঙ্গেই তা হুঙ্কার দিয়ে ছোটে। প্রশ্ন হয়, কি পেলাম, কতখানি এবং কোন্ শিক্ষালাভ আমার হল। এই লাভালাভের দিকটাতেই আমি সর্বপ্রথমে দৃষ্টি দিতে চাই।
সুভাষচন্দ্র বসু সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ – Ravindranath on Subhas Chandra – 1939-বাঙ্গালী কবি আমি, বাঙ্গালাদেশের হয়ে তােমাকে দেশনায়কের পদে বরণ করি। গীতায় বলেন, সুকৃতের রক্ষা ও দুষ্কৃতের বিনাশের জন্য রক্ষাকর্তা বারংবার আবির্ভূত হন। দুর্গতির জালে রাষ্ট্র যখন জড়িত হয়, তখনই পীড়িত দেশের অন্তর্বেদনার প্রেরণায় আবির্ভূত হয় দেশের অধিনায়ক। রাজশাসনের দ্বারা নিষ্পিষ্ট, আত্মবিরােধের দ্বারা বিক্ষিপ্তশক্তি বাংলাদেশের অদৃষ্টাকাশে দুর্যোগ আজ ঘনীভূত।
স্বাধীনতা আন্দোলনে হাওড়ার ভূমিকা-Role of Howrah District in Independence Movement-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন হাওড়া কংগ্রেসের সভাপতি । শরৎ বাবু ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ ভক্ত । সে সময় শরৎ বাবু থাকতেন হাওড়ার শিবপুরে। খুব আশ্চর্য লাগে তিনি নিজে কংগ্রেসী হলেও সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে ওনার ঘনিষ্ট যোগ ছিল, নানা ভাবে তিনি তাদের সাহায্য করতেন । ওনার পথের দাবী সে সময় বিপ্লবীদের দারুণ ভাবে উদ্বুদ্ধ করে ছিল, তা আমাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে শরণ করা উচিত ।
হ য ব র ল- সুকুমার রায় H Z B R L- SUKUMAR ROY-1922-শুনে বেড়ালটা “তাও জানো না?” বলে এক চোখ বুজে ফ্যাচ্ফ্যাচ্ করে বিশ্রীরকম হাসতে লাগল। আমি ভারি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। মনে হল, ঐ চন্দ্রবিন্দুর কথাটা নিশ্চয় আমার বোঝা উচিত ছিল। তাই থতমত খেয়ে তাড়াতাড়ি বলে ফেললাম, “ও হ্যাঁ-হ্যাঁ, বুঝতে পেরেছি।”
হাওড়া – আইন আদালত, সেকাল থেকে একাল-এই ঘরে এক সময় বসতেন বহু বিখ্যাত আইনজীবী। তাঁদের মধ্যে দু একটি নাম উল্লেখ করছি । নকড়ি মুখার্জী, অমূল্য ধন মুখার্জী ,অনিল সরকার,পঞ্চানন সমাদ্দার।তারা শঙ্কর মুখার্জী,হিমাংশু মুখার্জী।আর একজনের নাম তো করতেই হবে, যার সাথে পক্ষে বিপক্ষে বহু মামলা করেছি, তিনি আলোক আদক । আমি প্রথম কোর্টে এসে অবাক হয়ে দেখেছিলাম এক তরুণ আইনজীবী সিভিল কোর্টের বাঘা বাঘা লইয়ার দের বিরুদ্ধে লড়াই করছে । আমাদের দুর্ভাগ্য অল্প বয়েসেই প্রাকটিসের মধ্যগগনে হটাৎ মারা যান। চলুন এবার ৩ নং ঘরে। এ ঘর যিনি আলো করে থাকতেন তিনি হলেন, নান আদার দেন রঞ্জিত কুমার মিত্র। সুদর্শন সুপুরুষ প্রাণবন্ত খুরোধার বুদ্ধি। খুব ব্যাস্ত উকিল ছিলেন ।
হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশান – Howrah Municipal Corporation by Alak Bhattacharya-১৯৮০ সালে পাস হলো হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশান এক্ট। লাগু হয় [নোটিফিকেশন] ৩০ নভেম্বর ১৯৮১। হাওড়ার যে সব বিশিষ্ট মানুষ হাওড়া মিউনিসিপালিটির কর্মকর্তা রূপে বিশেষ সুনামের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে কয়েক জন হলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী বরোদা প্রসন্ন পাইন, সাহিত্যিক শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শৈলো মুখার্জী , বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, নরসিংহ দত্ত, রামেশ্বর মালিয়া অমৃতলাল পাইন চন্দ্র কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ।
হিন্দু আইনের উৎপত্তি ও উপকরণ-Source and materials of Hindu Law-নিবন্ধ বহুসংখ্যক আছে, তন্মধ্যে কতকগুলির নাম উল্লেখযোগ্য, যথা—জীমূতবাহন প্রণীত "দায়ভাগ” ; বিজ্ঞানেশ্বর প্রণীত “মিতাক্ষর”; রঘুনন্দন প্রণীত "দায়তত্ব” ; শ্ৰীকৃষ্ণ প্রণীত "দায়ক্রম-সংগ্রহ” ; বাচস্পতি মিশ্র প্রণীত “বিবাদ-চিন্তামণি” ; দেবানন্দ ভট্ট প্রণীত “স্মৃতি-চন্দ্রিকা” ; চণ্ডেশ্বর প্রণীত “বিবাদ-রত্নাকর” ; মিত্ৰমিশ্র প্রণীত “বীরমিত্রোদয়” প্রভৃতি। এই সমস্ত গ্রন্থগুলি সকল দেশ সমানভাবে প্রচলিত নহে ; কোনটী বঙ্গদেশে প্রচলিত, কোনটী বা মিথিলায় প্রচলিত, এইরূপ । বঙ্গদেশে দায়ভাগ, দায়তত্ত্ব, দায়ক্রমসংগ্রহ এবং বীরমিত্রোদয় এই চারিট গ্রন্থ প্রচলিত ; তন্মধ্যে দায়ভাগই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ
Betal Pancha Vimsati-Ishwar Chandra বেতালপঞ্চবিংশতি-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর [1847 CE]-কালেজ অব্ ফোর্ট উইলিয়ম নামক বিদ্যালয়ে, তত্ৰত্য ছাত্ৰগণের পাঠার্থে, বাঙ্গালা ভাষায় হিতোপদেশ নামে যে পুস্তক নির্দ্দিষ্ট ছিল, তাহার রচনা অতি কদৰ্য্য। বিশেষতঃ, কোনও কোনও অংশ এরূপ দুরূহ ও অসংলগ্ন যে কোনও ক্রমে অর্থবোধ ও তাৎপর্য্যগ্ৰহ হইয়া উঠে না। তৎপরিবর্ত্তে পুস্তকান্তর প্রচলিত করা উচিত ও আবশ্যক বিবেচনা করিয়া, উক্ত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মহামতি শ্ৰীযুত মেজর জি. টি. মার্শল মহোদয় কোনও নূতন পুস্তক প্রস্তুত করিতে আদেশ দেন। তদনুসারে আমি, বৈতালপচীসীনামক প্রসিদ্ধ হিন্দী পুস্তক অবলম্বন করিয়া, এই গ্রন্থ লিখিয়াছিলাম।
Books and Articles by Nirad C. Chaudhuri in Bengali-The conduct of American women, however, I cannot even now understand unless I attribute it to the sad but inexorable law of American impingement on Asia that the United States will never export any of its products to the East except those of which every decent American is ashamed, taken with its compliment that in retaliation, the East will set its lowest adventurers on the distributors of American money.
Gouri Elo Dekhe Ja lo- Agamani Gan-Gouri elo dekhe jalo- balade chariya sibe singyai dilo hak- aar singa suni martyete bajiya uthlo dhak.....
Khokababur Pratyavartan-খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন- Rabindranath Thakur-অপরাহ্নে¦মেঘ করিয়াছিল, কিন্তু বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা ছিল না। রাইচরণের খামখেয়ালি ক্ষুদ্র প্রভু কিছুতেই ঘরে থাকিতে চাহিল না। গাড়ির উপর চড়িয়া বসিল। রাইচরণ ধীরে ধীরে গাড়ি ঠেলিয়া ধানক্ষেত্রের প্রান্তে নদীর তীরে আসিয়া উপস্থিত হইল। নদীতে একটিও নৌকা নাই, মাঠে একটিও লোক নাই – মেঘের ছিদ্র দিয়া দেখা গেল, পরপারে জনহীন বালুকাতীরে শব্দহীন দীপ্ত সমারোহের সহিত সূর্যাস্তের আয়োজন হইতেছে। সেই নিস্তব্ধতার মধ্যে শিশু সহসা এক দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিল, “চন্ন, ফু।”
Lakshmi Panchali (লক্ষ্মীর পাঁচালী): An Introduction-নারায়ণের অনুমতি পাইয়া লক্ষ্মী আসিলেন মর্ত্যে। চারিদিক হাসিয়া উঠিল—সোনার বর্ণচ্ছটায়, বাতাস ভরিয়া উঠিল দেবীর দিব্যাঙ্গের অপরূপ সৌরভে। রাখাল অবাক হইয়া গেল। দেবী রাখালের কাছে আসিয়া বলিলেন দুঃখ তোমার দূর হইবে, তুমি আমার কথামত কাজ কর। এই লও ধানের বীজ; বর্ষার সময় মাঠে এইগুলি ছড়াইয়া দাও, বীজ হইতে গাছ হইবে। সেই গাছের বর্ণ যখন হইবে আমার দেহবর্ণের মত, আমার গাত্রগন্ধের মত, গন্ধে যখন ভরিয়া উঠিবে তাহার সর্বাঙ্গ, তখন সেগুলি কাটিয়া ঘরে তুলিবে (তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় - গণদেবতা (১৯৪২)
Mahabharata of Vyasa (Bengali Translation by Kaliprasanna Singha)-কোন সময়ে নৈমিষারণ্যে কুলপতি শৌনক দ্বাদশবার্ষিক যজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলেন। একদা মহর্ষিগণ দৈনন্দিন কর্ম্ম সমাধানপূর্ব্বক সকলে সমবেত হইয়া কথাপ্রসঙ্গে সুখে অধ্যাসীন হইয়া আছেন, ইত্যবসরে লোমহর্ষণ-পুৎত্র পৌরাণিক সৌতি অতি বিনীতভাবে তথায় সমুপস্থিত হইলেন। নৈমিষারণ্যবাসী ঋষিগণ তাঁহাকে অভ্যাগত দেখিয়া অত্যাশ্চর্য্য কথা শ্রবণ করিবার নিমিত্ত চতুর্দ্দিকে বেষ্টন করিয়া দণ্ডায়মান রহিলেন। উগ্রশ্রবাঃ সৌতি কৃতাঞ্জলিপুটে তাঁহাদিগকে অভিবাদন করিয়া তপস্যার কুশল জিজ্ঞসা করিলেন। তাঁহারাও অতিথির যথোচিত পূজা করিয়া বসিবার নিমিত্ত আসন প্রদানপূর্ব্বক আপনারাও যথাস্থানে উপবেশন করিলেন। অনন্তর সৌতি নির্দ্দিষ্ট স্থানে উপবিষ্ট হইলে ঋষিরা তাঁহাকে বিশ্রান্ত দেখিয়া কথাপ্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করিলেন. “হে কমললোচন সূতনন্দন! এখন কোথা হইতে আসিতেছ এবং এতকাল কোন্ কোন্ স্থানেই বা পর্য্যটন করিলে, তাহা আনুপূর্ব্বিক সমুদয় বল।” সৌতি এরূপ জিজ্ঞাসিত হইলে অতি শান্তপ্রকৃতি ঋষিদিগের সমক্ষে কহিতে লাগিলেন, “হে মহর্ষিগণ! আমি মহাত্মা জনমেজয়ের সর্পযজ্ঞে গমন করিয়াছিলাম। তথায় বৈশম্পায়নের মুখে কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন [ বেদব্যাস] প্রোক্ত মহাভারতীয় কথা শ্রবণ করিলাম। অনন্তর তথা হইতে প্রস্থান করিয়া বহুবিধ তীর্থ দর্শন ও অনেক আশ্রমে ভ্রমণ করিয়া পরিশেষে সমন্তপঞ্চক [কুরুক্ষেত্র] তীর্থে উপস্থিত হইলাম;– পূর্ব্বে যথায় কুরু ও পাণ্ডব এবং উভয়পক্ষীয় ভূপালদিগের তুমুল সংগ্রাম হইয়াছিল। তথা হইতে আপনাদিগের দর্শানার্থে এই পবিত্র আশ্রমে আসিয়াছি। তথা হইতে আপনাদিগের দর্শনার্থে এই পবিত্র আশ্রমে আসিয়াছি। যেহেতু, আপনারা আমার পক্ষে সাক্ষাৎ ব্রহ্মস্বরূপ। হে তেজস্বী ঋষিগণ! আপনারা যজ্ঞে আহুতি প্রদান করিয়া অতি পূতমনে আসনে উপবেশন করিয়া আছেন; অনুমতি করুন, ধর্ম্মসম্বন্ধীয় পৌরাণিকী কথা কি ভূপতিদিগের ইতিবৃত্ত বা ঋষিদিগের ইতিহাস, ইহার মধ্যে কি বর্ণন করিব?” ঋষিগণ কহিলেন, “ভগবান্ বেদব্যাস যে ইতিহাস কহিয়াছেন, সুরগণ ও ব্রহ্মর্ষিগণ যাহা শ্রবণ করিয়া অশেষ প্রশংসা করেন এবং বৈশম্পায়ন সর্পযজ্ঞে জনমেজয়ের নিকট যাহা কীর্ত্তন করিয়াছেন, আমরা সেই ইতিহাস শ্রবণ করিতে সাতিশয় অভিলাষ করি। কারণ, যাহা সকল উপাখ্যান হইতে শ্রেষ্ঠ ও নানাশাস্ত্রের সার-সঙ্কলন করিয়া রচিত ও বেদচতুষ্টয়ের অনুগত হইয়াছে এবং যাহাতে আত্মতত্ত্ববিষয়ক সম্যক্ মীমাংশা আছে, তাহা শ্রদ্ধা ও ভক্তিসহকারে শ্রবণ করিলে পাপভয়ের নিবারণ হয়।” ঋষিগণের প্রার্থনা-বাক্যে সন্তুষ্ট হইয়া উগ্রশ্রবাঃ কহিলেন, যিনি এই অখণ্ড প্রকাণ্ড ব্রহ্মাণ্ডের আদিপুরুষ ও অদ্বিতীয় অধীশ্বর, যিনি স্থাবর-জঙ্গম সকলের স্রষ্টা ও পাতা [রক্ষক], শাস্ত্রে যাঁহাকে একমাত্র পরব্রহ্ম বলিয়া নির্দ্দেশ করে, যাঁহার প্রীতির নিমিত্ত কেহ প্রজ্জ্বলিত হুতাশনে মন্ত্রোচ্চারণপুর্ব্বক বারংবার আহুতি প্রদান করিতেছেন, যাঁহার সাক্ষাৎকারলাভপ্রত্যাশায় কেহ বা শত শত বৎসর নির্জ্জনে একান্তমনে ধ্যান, মনন ও অতি কঠোর ব্রতাদির অনুষ্ঠান করিতেছেন, কেহ বা মায়াপ্রপঞ্চস্বরূপ সংসারে বিরক্তিভাব প্রকাশ করিয়া যাঁহার উপাসনার নিমিত্ত আত্মীয়-স্বজন সকলকেই বিসর্জ্জন করিয়া অরণ্যে অরণ্যে ভ্রমণ করিতেছেন, এইরূপ যাঁহাকে লাভ করিবার নিমিত্ত এই পৃথিবীস্থ সমস্ত লোকেই অতি দুষ্কর কর্ম্মে হস্তক্ষেপণ করিতেছে, –সেই অনাদি, অনন্ত, অভিলষিত-ফলদাতা, বিশ্বপাতা [বিশ্বপালক], চরাচরগুরু হরির চরণে প্রণিপাত করিয়া বেদব্যাস- প্রণীত অতি পবিত্র বিচিত্র ইতিহাস বর্ণন করিব। এই বিশাল মহীতলে কতশত মহাত্মারা ঐ ইতিহাস কহিয়া গিয়াছেন, অনেকেই কহিতেছেন এবং ভবিষ্যৎকালেই কহিবেন। ব্রাহ্মণেরা বহুকষ্টে ও অভিনিবিষ্টচিত্তে সংক্ষেপে বা সবিস্তারে যে বেদ অধ্যায়ন করিয়া থাকেন, যাহা জ্ঞানের একমাত্র সীমা, সেই বেদশাস্ত্রের অনুগত করিয়া এই ইতিহাস মহাত্মা বেদব্যাস কর্ত্তৃক বিরচিত হইয়াছে। ইহাতে শাস্ত্রের মত ও লৌকিক আচার-ব্যবহারের রীতিনীতি স্পষ্টরূপে নির্দ্দিষ্ট আছে। ইহা নানা সুচারু শব্দ ও রমণীয়ভাবে পরিপূর্ণ এবং নানাপ্রকার ছন্দোবন্ধে নিবদ্ধ ও অলঙ্কৃত হইয়াছে। এই নিমিত্ত পণ্ডিতমণ্ডলী মহাভারতের সবিশেষ সমাদর করিয়া থাকেন।
Prema Vivarta of Jagadananda Pandit-Who was Jagadananda Pandit All the Vaishnavas felt great enthusiasm when they heard that Mahaprabhu had begun His sankirtan movement. Every night, these kirtans took place in the house of Shrivasa Pandit, and on certain occasions, in the house of
Rabindra Sangeet-Puja Parjayer Gaan (পূজা-Complete)-Puja Parjayer Gaan Check the Index পূজা – গান (Gan) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর১পূজা – গান কান্নাহাসির-দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালা,তারি মধ্যে চিরজীবন বইব গানের ডালা—এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালাসুরের-গন্ধ-ঢালা?।তাই কি আমার ঘুম ছুটেছে, বাঁধ টুটেছে মনে,খ্যাপা হাওয়ার ঢেউ উঠেছে চিরব্যথার
Rajaniti in Kalika Puran (Bengali Text)-কৃষি, দুর্গ, বাণিজ্য, সেতু-বন্ধন, গজ-বাজি বন্ধন; খনি-আকরাধিকার, করগ্রহণ এবং শূন্যনিবেশন চর-শুন্যাদি স্থানে চরাদিস্থাপন–ইহা অষ্টবর্গ। এই অষ্টবর্গে চর নিয়োগ করিবে । বহুদেশতত্ত্ববিৎ, বহুভাষাভিজ্ঞ, পরাভিপ্ৰায়বেত্তা, দৃঢ়ভক্তি, সমর্থ ও নির্ভয় ব্যক্তিকে চর নিযুক্ত করা উচিত। রাজা, কদাচ একাকী শয়ন বা ভোজন করিবেন না; একাকী মলত্যাগ করিতে যাইবেন না বা একাকিনী মহিষীর নিকট একাকী যাইবেন না।
Remembering Achal Bhattacharya by Alak Bhattacharya-অচল বাবু ছিলেন নিয়মিত লেখক ।দেখালেন নিরস বিষয় কে সরস করে পরিবেশনের মুন্সীয়ানা। বন্ধু জগৎ রঞ্জন মজুমদার এর ছিল নাটকের দল, আর সাহিত্য পত্রিকা সাহিত্য ভারতী। তাতে অচল বাবু লিখতেন গল্প প্রবন্ধ নাটক । ওনার নাটক বহুবার মঞ্চস্থ হয়েছে । হাওড়ায় বাসা বদল অচল বাবুর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট এ মানতেই হবে
Sadhana O Samapti – Rabindranath Tagore সাধনা ও সমাপ্তি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-In truth, thou ocean of joy, this shore and the other shore are one and the same in thee. When I call this my own, the other lies estranged; and missing the sense of that completeness which is in me, my heart incessantly cries out for the other. All my this, and that other, are waiting to be completely reconciled in thy love.
Tappa Gan by Ram Nidhi Gupta @ Nidhu Babu (টপ্পা গান)-Tappa Gan - টপ্পা গান অশ্লীল ছিলকিনা জানা যায় না, তবে বোঝা যায় যে নিধু বাবু নিচু জাতের এই গান কে ঘষে মেজে এক ধ্রুপদী ঘরানায় পরিবর্তন করেছিলে। নিধু বাবু এই গান কিভাবে গাইতেন তার কোনো রেকর্ড নেই, আমরা রামকুমার চট্টোপাধ্যাযের গলায় এই গান আমার গীতি সিনেমাতে শুনতে পেয়েছি। রামকুমার পুরানো দিনের বৈঠকি গানের আচার্য বলেই পরিচিত ছিলেন , স্বভাবতই তিনি নিধু বাবুর স্টাইল কে উদ্ধার করেই এইগান গেয়ে থাকবেন বলে বোধ হয়।
Ukiler Buddhi – Sukumar Roy উকিলের বুদ্ধি – সুকুমার রায়-এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তোখোড়-বুদ্ধি উকিল এসে বলল, “ঐ একশো টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।” চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, “আমায় বাঁচিয়ে দিন।” উকিল বলল, “তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথা-টথা কয়ো না।
Vyabasa o Banijye Chattala – Abdul Karim Sahitya Visarad (ব্যবসায় ও বাণিজ্যে চট্টলা-আবদুল করিম সাহিত্য-বিশারদ)-আমাদের এই দেশ বাণিজ্যের জন্য – বিশেষত সামুদ্রিক বাণিজ্যে চিরপ্রসিদ্ধ, তাহা আগে একবার বলিয়াছি। এই বাণিজ্যের সর্বপ্রধান সহায় বাণিজ্য-তরণীর জন্য আমাদিগকে পরের উপর নির্ভর করিতে হইত না। এদেশেই সমস্ত জাহাজ নির্মিত হইত। চৈনিক পরিব্রাজক মাহুয়ান্ লিখিয়া গিয়াছেন, এই দেশের জাহাজ নির্মাণ প্রণালীর শ্রেষ্ঠতা হৃদয়ংগম করিয়া মহামান্য রোমের সম্রাট আলেকজেন্দ্রিয়ার ডক কারখানা এবং জাহাজ নাপছন্দ করিয়া এই চট্টগ্রাম হইতেই জাহাজ তৈয়ার করাইয়া লইতেন।