Bangla Vyakarana Collection

Print Friendly, PDF & Email

বাংলায় যাহা-কিছু সংস্কৃতের নিয়ম মানে না, তাহাকে এক দল লােক কুলত্যাগ বলিয়া ত্যাগ করিতে চান। এবং সংস্কৃতের নিয়মকে বাংলায় সর্বত্রই প্রতিষ্ঠিত করিতে তাঁহাদের চেষ্টা। তাঁহাদের বিশ্বাস, স্বরচিত ব্যাকরণে তাঁহারা সংস্কৃত-নিয়মকে জাহির করিলে এবং বাংলা-নিয়মের উল্লেখ না করিলেই, বাংলা ভাষা সংস্কৃত হইয়া দাঁড়াইবে। তাহারা মনে করেন, ‘পাগলাম’ এবং ‘সাহেবিয়ানা’ কথা যে বাংলায় আছে, ও ‘আম’ এবং আমা’ -নামক সংস্কৃতেতর প্রত্যয়-দ্বারা তাহারা সিদ্ধ, এ কথা না তুলিলেই আপদ চুকিয়া যায়– এবং যখন প্রয়ােজন হয়, তখন ‘উন্মত্ততা’ ও ‘ইংরাজানুকৃতিশীলত্ব’ কথা ব্যবহার করিলেই গ্রাম্য কথা দুটার অস্তিত্বই ঢাকিয়া রাখা যাইবে-বাংলা শব্দতত্ত্ব

Print Friendly, PDF & Email
Written in 1778 by Nathaniel Brassey Halhead and printed in Hoogly, A Grammar of the Bengal Language constitutes the first grammar book of the Bengali language. The book was written at the request of Governor Warren Hastings by Nathaniel Halhed (25 May 1751 – 18 February 1830)

Written in 1778 by Nathaniel Brassey Halhead and printed in Hoogly, A Grammar of the Bengal Language constitutes the first grammar book of the Bengali language. The book was written at the request of Governor Warren Hastings by Nathaniel Halhed (25 May 1751 – 18 February 1830)

 

বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা

“বাঙালি যে ইতিপূর্বে কেবলি চাষবাস এবং ঘরকন্নার ভাবনা লইয়াই কাটাইয়াছে এ কথা সম্পূর্ণ সত্য নহে। কিন্তু ইতিপূর্বে তার চেয়ে বড়ো কথা যাঁরা চিন্তা করিয়াছেন তারা বিশেষ সম্প্রদায়ে বদ্ধ। তাঁরা প্রধানত ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের দল। তাঁদের শিক্ষা এবং ব্যাবসা, দুইয়েরই অবলম্বন ছিল সংস্কৃত পুঁথি। সংস্কৃত ভাষা যে অংশে বাংলা ভাষার সহায় সে-অংশে তাহাকে লইতে হইবে, যে-আংশে বোঝা সে-অংশে তাহাকে ত্যাগ করিতে হুইবে। বাংলাকে সংস্কৃতের সন্তান বলিয়াই যদি মানিতে হয় তবে সেইসঙ্গে এ কথাও মানা চাই যে তার ষোলো বছর পার হইয়াছে, এখন আর শাসন চলিবে না, এখন মিত্রতার দিন। কিন্তু যতদিন বাংলা বইয়ের ভাষা চলিত ভাষার ঠাট না গ্রহণ করিবে ততদিন বাংলা ও সংস্কৃত ভাষার সত্য সীমানা পাকা হইতে পারিবে না। ততদিন সংস্কৃত বৈয়াকরণের বর্গির দল আমাদের লেখকদের ত্রস্ত করিয়া রাখিবেন। ইংরেজি হইতে আমরা বা লাভ করিয়াছি যখন আমাদের দেশে ইংরেজিতেই তার ব্যাবসা চলিতেছিল তখন দেশের ভাষার সঙ্গে দেশের শিক্ষার কোনো সামঞ্জস্য ঘটে নাই। রামমোহন রায় হইতে শুরু করিয়া আজ পর্যন্ত ক্রমাগতই নূতন ভাব ও নূতন চিন্তা আমাদের ভাষার মধ্যে আনাগোনা করিতেছে। এমন করিয়া আমাদের ভাষা চিন্তার ভাষা হইয়া উঠিয়াছে। এখন আমরা ঘরে ঘরে মুখে মুখে যে-সব শব্দ নিরাপদে ব্যবহার করি তাহা আর পঁচিশ বছর পূর্বে করিলে দুর্ঘটনা ঘটিত। এখন আমাদের ভাষা-বিচ্ছেদের উপর সাঁড়া ব্রিজ বাঁধা হইয়াছে। এখন আমরা মুখের কথাতেও নূতন পুরাতন সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করি আবার পুঁখির ভাষাতেও এমন শব্দ চলিতেছে পূর্বে সাধু ভাষায় যাদের জল-চল ছিল না। সেইজন্যই পুঁথির ভাষায় ও মুখের ভাষায় সমান বহরের রেল পাতিবার যে-প্রস্তাব উঠিয়াছে, অভ্যাসের আরামে ও অহংকারে ঘা লাগিলেও সেটাকে একেবারে উড়াইয়া দিতে পারি না।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Culture and Sanskriti by Rabindranath Tagore (1909)

Bhasar Katha ভাষার কথা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1909

উচ্চতর বাংলা ব্যাকরণ – বামনদেব চক্রবর্তী


Bangla Vyakarana by Jagadish ch Ghosh


Rachana Bichinta by P acharya


Home Forums Bangla Vyakarana Collection

Viewing 0 reply threads
  • Author
    Posts
    • #219556
      advtanmoy
      Keymaster

      বাংলায় যাহা-কিছু সংস্কৃতের নিয়ম মানে না, তাহাকে এক দল লােক কুলত্যাগ বলিয়া ত্যাগ করিতে চান। এবং সংস্কৃতের নিয়মকে বাংলায় সর্বত্রই প্রতিষ্ঠিত করিতে তাঁহাদের চেষ্টা। তাঁহাদের বিশ্বাস, স্বরচিত ব্যাকরণে তাঁহারা সংস্কৃত-নিয়মকে জাহির করিলে এবং বাংলা-নিয়মের উল্লেখ না করিলেই, বাংলা ভাষা সংস্কৃত হইয়া দাঁড়াইবে। তাহারা মনে করেন, ‘পাগলাম’ এবং ‘সাহেবিয়ানা’ কথা যে বাংলায় আছে, ও ‘আম’ এবং আমা’ -নামক সংস্কৃতেতর প্রত্যয়-দ্বারা তাহারা সিদ্ধ, এ কথা না তুলিলেই আপদ চুকিয়া যায়– এবং যখন প্রয়ােজন হয়, তখন ‘উন্মত্ততা’ ও ‘ইংরাজানুকৃতিশীলত্ব’ কথা ব্যবহার করিলেই গ্রাম্য কথা দুটার অস্তিত্বই ঢাকিয়া রাখা যাইবে-বাংলা শব্দতত্ত্ব

      [See the full post at: Bangla Vyakarana Collection]

Viewing 0 reply threads
  • You must be logged in to reply to this topic.

Next Post

Bangla Sabda Tattva - Ravindranath Thakur (1909)

Wed Aug 2 , 2023
এই গ্রন্থে বাংলা শব্দতত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। বলা বাহুল্য যথার্থ বাংলা ভাষা প্রাকৃত ভাষা, সংস্কৃত ভাষা নয়। প্রাচীন প্রাকৃতের মতোই বাংলা প্রাকৃতের বৈচিত্র্য আছে। চাটগাঁ থেকে আরম্ভ করে বীরভূম পর্যন্ত এই প্রাকৃতের বিভিন্নতা সুপ্রসিদ্ধ। কিন্তু কোন্ প্রাকৃতের রূপ বাংলা সাহিত্যে সাধারণত স্বীকৃত হবে সেই প্রশ্ন ১৩২৩ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ‘সবুজ পত্রে’ আলোচিত হয়। বস্তুত এই তর্ক সূচনা হবার বহু পূর্বেই সহজে তা স্বীকৃত হয়ে গেছে। বাংলা নাটকে পাত্রদের মুখে যে বাংলায় বাক্যালাপ বিনা বিতর্কে প্রচলিত হয়েছে তা পূর্ব উত্তর অথবা পশ্চিম প্রান্তের বাংলা নয়। এই গ্রন্থের আরম্ভে প্রয়োজন অনু্ভব করে উক্ত প্রবন্ধ প্রকাশ করা হল। [১৩৪২]
RAVINDRANATH TAGORE

You May Like

Recent Updates

%d bloggers like this: